১. ‘মীলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান করা।
২. ‘শবে-বরাত পালন করা।
৩. ‘শবে-মেরাজ পালন করা।
৪. মৃতব্যক্তির কাযা বা ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কাফ্ফারা আদায় করা।
৫. মৃত্যুর পর ৭ম, ১০ম, অথবা ৪০তম দিনে মানুষদেরকে খাওয়ানো বা দুআর অনুষ্ঠান করা।
৬. ‘ইছালে ছাওয়াব বা ছাওয়াব রেসানী বা ছাওয়াব বখশে দেওয়ার অনুষ্ঠান করা।
৭. মৃতব্যক্তির রূহের মাগফিরাতের জন্য অথবা কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে খতমে কুরআন অথবা খতমে জালালীর অনুষ্ঠান করা ইত্যাদি।
৮. জোরে জোরে চিল্লিয়ে যিকর করা।
৯. হালকায়ে যিকরের অনুষ্ঠান করা।
১০. পীর সাহেবের কাছে মুরীদ হওয়।
১১. মা-বোন ও স্ত্রীকে পীর সাহেবের কাছে মুরীদ হওয়ার জন্য এবং তাদের খেদমত করার জন্য পাঠানো।
১২. ফরয, সুন্নাত, ও নফল তথা বিভিন্ন ধরনের নামায শুরু করার পূর্বে মুখে উচ্চারণ করে নিয়াত পড়া বিদ‘আত।
১৩. পেশাব করার পরে পানি থাকা সত্বেও অধিকতর পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে কুলুখ নিয়ে ২০, ৪০,৭০ কদম হাটাহাটি করা, জোরে জোরে কাশি দেয়া, হেলা দুলা করা, পায়ে পায়ে কাচি দেয়া এসবই বেহায়াপনা কাজ ও স্পষ্ট বিদ‘আত।
১৪. অনেকে ধারণা করেন যে, তাবলীগ জাম‘আতের সাথে যেয়ে ৩টা অথবা ৭টা চিল্লা দিলে ১হজের সওয়াব হয়। এ সমস্ত কথা সবই বানাওয়াট ও মিথ্যা, তথা বিদ‘আত।
আরো কিছু বিদ'আত:
জাল বা দুর্বল কোন হাদিসেই এইসব আমলের প্রমাণ নাই, অথচ আমরা রোজ এগুলো করছি-
> প্রতি নামাযের শুরুতে মুখস্ত করা নিয়ত উচ্চারণ করে পড়া,
> মিলাদ পড়া,
> চল্লিশা, কুলখানি করা,
> মুর্তি, ছবি, কবরে ফুল মালা দেয়া
> ইকামত বা আযানের সময় নবী (সা) এর নাম শুনে চোখ মালিশ করা
> নামায শেষে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকা
> আত্তাহিয়াতু পড়ার শেষে লা ইলাহা বলার সময় শুধু একবার আংগুল উঠান
> প্রতি ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মুনাজাত
> ফরজ নামাযের সালাম ফেরানোর সাথে সাথেই সুন্নাত নামাযের জন্য দাড়িয়ে যাওয়া
এইসব বিদাতি আমল অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। আল্লাহ আমাদেরক বুঝার তৌফিক দিন
Reference: http://salafibd.wordpress.com/2012/03/20/aqidah2/