ডকুমেন্ট পড়ুন: দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে ▐ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায়ের পদ্ধতি ▐ কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান ▐ গুরুত্বপূর্ণ দোআ সমূহ ▐ কবরের আযাব ▐ আল কুরআনের আলোকে আল্লাহর পথে দানের গুরুত্ব ▐ ঈমান সুদৃঢ় রাখার কিছু উপায় ▐ আল্লাহর হক ▐ জান্নাতে প্রবেশের কিছু উপায়▐ নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি ▐ আমাদের দেশে প্রচলিত কয়েকটি বড় ধরনের বিদ'আত ▐ পুন্যের অসংখ্য পথ ▐ কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত ▐ যদি সবকিছু পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পাদনের জন্যে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে কেন ? ▐ তাওবার ফজিলত ▐ মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ▐ অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : অহংকার ▐ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল ▐ দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান ▐ একশটি কবীরা গুনাহ ▐ ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর ▐ মৃত-ব্যক্তির জন্য করণীয় কাজের মাসনূন পদ্ধতি ▐ দান-ছদকার ফযীলত ▐ ইসলামে নারীর যৌন অধিকার ▐ আমরা যেভাবে আল্লাহ্‌র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করব ▐ কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম ▐ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ: গুরুত্ব ও তাৎপর্য ▐ প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা ▐ বিয়ের প্রস্তাব : করণীয় ও বর্জনীয় ▐ কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত ▐ মিউজিক কি হারাম ? ▐ যে সকল কারণে একজন মুসলমান ইসলামচ্যুত হয়ে যায় তথা কাফির হয়ে যায় ▐ বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ ▐ পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর ▐ দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা ▐ যে সব ভুল-ভ্রান্তির কারণে দু'আ কবুল হয়না ▐ কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস ▐ বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা ▐ তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত ▐ ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব ▐





Peace TV Bangla Live

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা

আল্লাহ তাআলা বলেছেন﴿ وَقَالَ رَبُّكُمُ ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ ٦٠ ﴾ (غافر: ٦٠) 
“তোমাদের প্রতিপালক বলেনতোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” (সূরা গাফের ৬০ আয়াত)
তিনি বলেন﴿ ٱدۡعُواْ رَبَّكُمۡ تَضَرُّعٗا وَخُفۡيَةًۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ٥٥ ﴾ (الاعراف: ٥٤) 
“তোমরা কাকুতি-মিনতি সহকারে ও সংগোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাকনিশ্চয় তিনি সীমালংঘন কারীদেরকে পছন্দ করেন না।” (সূরা আরাফ ৫৫ অয়াত)
তিনি আরও বলেন وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ ١٨٦ ﴾ (البقرة: ١٨٦)    
“আর আমার দাসগণ যখন আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করেতখন তুমি বলআমি তো কাছেই আছি। যখন কোন প্রার্থনাকারী আমাকে ডাকেআমি তার ডাকে সাড়া দিই।” (সূরা বাক্বারাহ১৮৬ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
﴿ أَمَّن يُجِيبُ ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ ﴾ [النمل: ٦٢] 
“অথবা (উপাস্য) তিনিযিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন।” (সূরা নামল ৬২ আয়াত)
1/1473 وَعَنْ النُّعْمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الدُّعَاءُ هُوَ العِبَادَةُ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
১/১৪৭৩। নুমান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দোআই হল (মূল) ইবাদত।” (আবূ দাউদ তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]

2/1474 وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَحِبُّ الجَوَامِعَ مِنَ الدُّعَاءِ، وَيَدَعُ مَا سِوَى ذَلِكَ . رواه أَبُو داود بإسناد جيدٍ
২/১৪৭৪। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অল্প শব্দে বহুল অর্থবোধক দোআ পছন্দ করতেন এবং তা ছাড়া অন্য দোআ পরিহার করতেন।’ (আবূ দাউদউত্তম সানাদে)[2]
3/1475 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه  قَالَ: كَانَ أَكثَرُ دُعَاءِ النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم«اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» متفقٌ عَلَيْهِ .
زاد مسلم في روايتهِ قَالَ: وَكَانَ أَنَسٌ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدَعْوَةٍ دَعَا بِهَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدُعَاءٍ دَعَا بِهَا فِيهِ.
৩/১৪৭৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকাংশ দোআ এই হত, ‘আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্য়্যা হাসানাহঅফিল আ-খিরাতে হাসানাহঅক্বিনা আযাবান্নার।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও। (বুখারী ও মুসলিম)[3] 
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় বর্ধিত আকারে আছেআনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন একটি দোআ করার ইচ্ছা করতেনতখন ঐ দোআ করতেন। আবার যখন (বিভিন্ন) দোআ করার ইচ্ছা করতেনতখন তার মাঝেও ঐ দোআ করতেন।
4/1476 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى» . رواه مسلم
৪/১৪৭৬। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ করতেন,
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অত্তুক্বা অলআফা-ফা অলগিনা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েতপরহেজগারিঅশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)[4] 
5/1477 وَعَنْ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَؤلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِني، وَعَافِني، وَارْزُقْنِي» . رواه مسلم
وفي روايةٍ له عن طارق: أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، كَيْفَ أَقُولُ حِيْنَ أَسْأَلُ رَبِّي ؟ قَالَ: «قُلْ:  اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِني، وارْزُقْنِي، فَإِنَّ هَؤُلاَءِ تَجْمَعُ لَكَ دُنْيَاكَ وَآخِرَتَكَ».
৫/১৪৭৭। ত্বারেক ইবনে আশ্য়্যাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনকেউ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নামায শিখাতেন। তারপর তাকে এই দোআ পাঠ করতে আদেশ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলীঅরহামনীঅহদিনীঅ আ-ফিনী,অরযুক্বনী।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করআমার প্রতি দয়া করআমাকে সঠিক পথ দেখাওআমাকে নিরাপত্তা দান কর এবং আমাকে জীবিকা দাও।(মুসলিম)[5]
অন্য এক বর্ণনায় আছেত্বারেক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনযখন তাঁর নিকটে একটি লোক এসে নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! যখন আমি আমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করবতখন কি বলব?’ তখন তিনি বললেন, “বল, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলী---।’ কারণএই শব্দগুলিতে তোমার ইহকাল-পরকাল উভয়ই শামিল রয়েছে।
6/1478 وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «اَللهم مُصَرِّفَ القُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ» . رواه مسلم
৬/১৪৭৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দোআ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ ক্বুলূবানা আলা ত্বা-আতিক।
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। (মুসলিম)[6]
7/1479 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَوَّذُوا بِاللهِ مِنْ جَهْدِ البَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوْءِ القَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ». متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ قَالَ سُفيَانُ: أَشُكُّ أنِّي زِدْتُ وَاحِدَةً مِنْهَا .
৭/১৪৭৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনতোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে বল, ‘(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা) মিন জাহদিল বালা-ই অদারাকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বাযবা-ই অশামা-তাতিল আদা-
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য)দুর্ভাগ্যের নাগালমন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি। (মুসলিম)[7]
এক বর্ণনায় সুফিয়ান বলেছেন, ‘আমার সন্দেহ হয় যেঐ কথাগুলির মধ্যে একটি কথা আমি বাড়িয়ে দিয়েছি।
8/1480 وَعَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم أَصْلِحْ لِي دِينِيَ الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرتِيَ الَّتي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ المَوتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ» . رواه مسلم
৮/১৪৮০। উক্ত রাবী হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ পড়তেন,
আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ইসমাতু আমরীঅ আস্ব্লিহ লী দুন্য়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মাআ-শীঅ আস্ব্লিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মাআ-দী। অজআলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুলি খাইর্। অজআলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুলি শার্র্।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে শুধরে দাওযা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী। আমার পার্থিব জীবনকে শুধরে দাওযাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে শুধরে দাওযাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর। (মুসলিম)[8]
8/1481 وَعَنْ عَلِيٍّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ لِي  رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «قُلْ:  اَللهم اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي».
وفي رواية: «اَللهم إنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالسَّدَادَ» . رواه مسلم
৯/১৪৮১। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিততিনি বলেনএকদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মাহদিনী অসাদ্দিদনী।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত কর ও সোজাভাবে রাখ।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অস্সাদা-দ’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়েত ও সরল পথ কামনা করছি। (মুসলিম) [9]
10/1482 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ، وَالكَسَلِ، وَالجُبْنِ، وَالهَرَمِ، وَالبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ» .
وفي رواية: «وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» . رواه مسلم
১০/১৪৮২। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ পড়তেন,
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্লঅ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরিঅ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতাঅলসতাভীরুতাস্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকেআশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)
অপর বর্ণনায় (যুক্ত) আছে, অদ্বাল‘ইদ-দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল। (মুসলিম)[10]
11/1483 وَعَنْ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيق رضي الله عنه: أَنَّه قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُوْ بِهِ فِي صَلاَتِي، قَالَ: «قُلْ: اَللهم إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحِيمُ». متفق عَلَيْهِ
وفي روايةٍ: «وَفِي بَيتِيْ» وَرُوِيَ: «ظُلماً كَثِيراً» وَرُوِي: «كَبِيراً» بالثاء المثلثة وبالباء الموحدة ؛ فينبغي أنْ يجمع بينهما فيقال: كَثِيراً كَبِيراً .
১১/১৪৮৩। আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ‘আমাকে এমন দোআ শিখিয়ে দিনযা দিয়ে আমি আমার নামাযে প্রার্থনা করব।’ তিনি বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাঁউ অলা য়্যাগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা অরহামনীইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম। (বুখারী-মুসলিম) [11]
এক বর্ণনায় আছে, ‘(যা দিয়ে আমি আমার নামাযে) এবং আমার ঘরে (প্রার্থনা করব।)’ ‘যুলমান কাসীরান’-এর স্থলে কোন কোন বর্ণনায়যুলমান কাবীরানও বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং উচিত হলউভয় বর্ণনা একত্র করে যুলমান কাসীরান কাবীরান’ বলা।
12/1484 وَعَنْ أَبي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: أَنَّه كَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ: «اَللهم اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي، وَإِسرَافِي فِي أَمْرِي، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنّي،  اَللهم اغْفِرْ لِي جِدِّي وَهَزْلِي ؛ وَخَطَئِي وَعَمْدِي ؛ وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي،  اَللهم اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَنتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ». متفق عَلَيْهِ
১২/১৪৮৪। আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ পড়তেন,
আল্লা-হুম্মাগফির লী খাত্বীআতী অজাহলী অইসরা-ফী ফী আমরীঅমা আন্তা আ‘লামু বিহী মিন্নী। আল্লা-হুম্মাগফির লী জিদ্দী অহাযলী অখাত্বাঈ অআম্দীঅকুল্লু যা-লিকা ইন্দী। আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আলানতু অমা আন্তা আলামু বিহী মিন্নী,আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখ্খিরু অআন্তা আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপমুর্খামিকর্মে সীমালঙ্ঘনকে এবং যা তুমি আমার চেয়ে অধিক জানতা আমার জন্য ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ গো! তুমি আমার অযথার্থ ও যথার্থঅনিচ্ছাকৃত ও ইচ্ছাকৃত-ভাবে করা পাপসমূহকে মার্জনা করে দাও। আর এই প্রত্যেকটি পাপ আমার আছে।
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা করযে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছিযা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা তুমি অধিক জান। তুমিই অগ্র-সরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী এবং তুমি প্রতিটি বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। (বুখারী ও মুসলিম)[12]
13/1485 وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: «اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ» . رواه مسلم
১৩/১৪৮৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ দোআতে এই শব্দগুলি বলতেন,
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা ‘আমিলতু অ মিন শার্রি মা লাম আ‘মাল।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত (পুণ্যের) মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (অথবা অপরের কৃত পাপের ব্যাপক শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।) (মুসলিম) [13]
14/1486 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ مِن دُعَاءِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم«اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ» . رواه مسلم
১৪/১৪৮৬। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি দোআ ছিল,
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন যাওয়া-লি নিমাতিকা অতাহাউবুলি আ-ফিয়াতিকা অফুজাআতি নিক্বমাতিকা অজামী-ই সাখাত্বিক।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসরণনিরাপত্তার প্রত্যাবর্তনআকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)[14]
15/1487 وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخْلِ وَالهَرَمِ، وَعَذَابِ القَبْرِ،  اَللهم آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّها أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا،  اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ؛ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ ؛ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجابُ لَهَا» .رواه مسلم
১৫/১৪৮৭। যায়েদ ইবনে আরক্বাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ পাঠ করতেন,
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অলকাসালি অলবুখ্লি অলহারামি অ আযা-বিল ক্বাব্র্। আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা অযাক্কিহা আন্তা খাইরু মান যাক্কা-হাআন্তা অলিয়্যুহা অমাউলা-হা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ইলমিল লা য়্যানফা’, অমিন ক্বালবিল লা য়্যাখশা’,অমিন নাফসিল লা তাশবা’, অমিন দাওয়াতিল লা য়্যুস্তাজা-বু লাহা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে অক্ষমতাঅলসতাকৃপণতাস্থবিরতা এবং কবরের আযাব থেকে পানাহ চাচ্ছি। হে আল্লাহ আমার আত্মায় তোমার ভীতি প্রদান কর এবং তাকে পবিত্র করতুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী। তুমিই তার অভিভাবক ও প্রভু। হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট সেই ইলম থেকে পানাহ চাচ্ছিযা কোন উপকারে আসে না। সেই হৃদয় থেকে পানাহ চাচ্ছি যা বিনয়ী হয় না। সেই আত্মা থেকে পানাহ চাচ্ছিযা তৃপ্ত হয় না এবং সেই দোআ থেকে পানাহ চাচ্ছি যা কবুল হয় না। (মুসলিম)[15]
16/1488 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وإلَيْكَ أنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وإلَيْكَ حَاكَمْتُ . فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ، وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أعْلَنْتُ، أنتَ المُقَدِّمُ، وأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لا إِلٰهَ إِلاَّ أنْتَ» . زَادَ بَعْضُ الرُّوَاةِ: «وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ». متفق عَلَيْهِ
১৬/১৪৮৮। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআটি পড়তেন,
আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু অবিকা আ-মানতুঅ আলাইকা তাওয়াক্কালতুঅ ইলাইকা আনাবতুঅবিকা খা-স্বামতু অ ইলাইকা হা-কামতু ফাগ্ফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আলানতু আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অআন্তাল মুআখ্খিরু লা ইলা-হা  ইল্লা আন্তা (অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।)
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছিতোমার উপরেই ঈমান (বিশ্বাস) রেখেছিতোমার উপরেই ভরসা করেছিতোমার দিকে অভিমুখী হয়েছিতোমারই সাহায্যে বিতর্ক করেছিতোমারই নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছি। অতএব তুমি আমার পূর্বেরপরেরগুপ্ত ও প্রকাশ্য পাপকে মাফ করে দাও। তুমিই অগ্র-সরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী। তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। (কোন কোন বর্ণনাকারীর বর্ধিত বর্ণনা) তোমার তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার ও সৎকাজ করার সাধ্য নেই। (বুখারী ও মুসলিম) [16]
17/1489 وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدعُو بِهَؤُلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ شَرِّ الغِنَى وَالفَقْرِ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح ؛ وهذا لفظ أَبي داود .
১৭/১৪৮৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শব্দাবলী যোগে দোআ করতেন,
আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিন্নারি অআযাবিন্নারিঅমিন শার্রিল গিনা অলফাক্ব্র।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি জাহান্নামের ফিতনা থেকেজাহান্নামের আযাব থেকে এবং ধনবত্তা ও দারিদ্র্যের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।(আবূ দাউদতিরমিযী হাসান সহীহএ-শব্দগুলি আবূ দাউদের)[17]
18/1490 وَعَنْ زِيَادِ بنِ عِلاَقَةَ عَن عَمِّهِ، وَهُوَ قُطْبَةُ بنُ مالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَان النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأخْلاَقِ، وَالأعْمَالِ، والأهْواءِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
১৮/১৪৯০। যিয়াদ ইবনে ইলাক্বাহ স্বীয় চাচা কুত্ববাহ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ পড়তেন, “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন মুনকারা-তিল আখলা-ক্বি অলআমা-লি অলআহওয়া-
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্রঅসৎ কর্ম ও কু-প্রবৃত্তি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিযী হাসান)[18]
19/1491 وَعَنْ شَكَلِ بنِ حُمَيدٍ رضي الله عنه  قَالَ: قُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، علِّمْنِي دُعَاءً، قَالَ: «قُلْ:  اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي، وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي، وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي، وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي، وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
১৯/১৪৯১। শাকাল ইবনে হুমাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনএকদা আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে একটি দোআ শিখিয়ে দিন।’ তিনি বললেন, “বল,
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি সাম্য়ীঅমিন শার্রি বাস্বারীঅমিন শার্রি লিসানীঅমিন শার্রি ক্বালবীঅমিন শার্রি মানিইয়্যী।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট আমার কর্ণচক্ষুরসনাঅন্তর এবং বীর্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে শরণ চাচ্ছি। (আবূ দাউদ,তিরমিযীহাসান)[19]
20/1492 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالجُنُونِ، وَالجُذَامِ، وَسَيِّيءِ الأَسْقَامِ» . رواه أَبُو داود بإسناد صحيحٍ
২০/১৪৯২। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোআ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বারাস্বি অলজুনূনি অলজুযা-মি অমিন সাইয়্যিইল আসক্বা-ম।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবলউন্মাদকুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সানাদ) [20]
21/1493 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُوعِ، فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيعُ، وَأَعُوذُ بِكَ منَ الخِيَانَةِ، فَإِنَّهَا بِئْسَتِ البِطَانَةُ» . رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
২১/১৪৯৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দোআটি পাঠ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল জূ-’, ফাইন্নাহু বিসায্ যবাজী-। অ আঊযু বিকা মিনাল খিয়ানাহফাইন্নাহা বিসাতিল বিত্বা-নাহ।’ 
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে পানাহ চাচ্ছিকারণ তা নিকৃষ্ট শয়ন-সাথী। আর আমি খেয়ানত থেকেও পানাহ চাচ্ছিকারণ তা নিকৃষ্ট সহচর। (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সানাদ)[21]
22/1494 وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه: أَنَّ مُكَاتِباً جَاءَهُ فَقَالَ: إِنِّي عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي، قَالَ: ألاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهنَّ  رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلٍ دَيْناً أَدَّاهُ اللهُ عَنْكَ؟ قُلْ: «اَللهم اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
২২/১৪৯৪।  আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতএকজন মুকাতিব’ (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ কৃতদাস) তাঁর নিকট এসে নিবেদন করল, ‘আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগঅতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।’ (এ কথা শুনে) তিনি বললেন, ‘তোমাকে কি এমন দোআ শিখিয়ে দিব নাযা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছিলেনযদি তোমার উপর পর্বত সমপরিমাণ ঋণও থাকেতাহলে আল্লাহ তাআলা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। বল, ‘আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আন হারা-মিক,অআগনিনী বিফাযবলিকা আম্মান সিওয়া-ক।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার হালাল রুযী দিয়ে হারাম রুযী থেকে আমার জন্য যথেষ্ট কর এবং তুমি ছাড়া অন্য সকল থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী কর। (তিরমিযী হাসান)[22]
23/1495 وعَنْ عِمْرانَ بنِ الحُصينِ رَضي اللهُ عنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم علَّم أَباهُ حُصيْناً كَلِمتَيْنِ يدعُو بهما: «اللَّهُمَّ أَلهِمْني رُشْدِي، وأَعِذني مِن شَرِّ نفسي» . رواهُ الترمذيُّ وقَالَ: حديثٌ حسنٌ
২৩/১৪৯৫। ইমরান ইবনুল হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর (রাবী) পিতা হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে দুটি কালিমা শিখিয়েছেন যা দিয়ে তিনি দোআ করতেন: হে আল্লাহ! আমার অন্তকরণে হিদায়েত পৌঁছাওআর হৃদয়ের অনিষ্ঠটা থেকে আমাকে রক্ষা কর।” (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[23]
24/1496 وَعَنْ أَبي الفَضلِ العَبَّاسِ بنِ عَبدِ المُطَّلِبِ رضي الله عنهقَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي شَيْئاً أَسْألُهُ اللهَ تَعَالَى، قَالَ: «سَلوا اللهَ العَافِيَةَ» فَمَكَثْتُ أَيَّاماً، ثُمَّ جِئْتُ فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي شَيْئاً أَسْألُهُ الله تَعَالَى، قَالَ لي: «يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، سَلُوا اللهَ العَافِيَةَ في الدُّنيَا وَالآخِرَةِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
২৪/১৪৯৬। আবূল ফায্ল আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনএকদা আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন জিনিস শিক্ষা দান করুনযা মহান আল্লাহর কাছে চেয়ে নেব।’ তিনি বললেন, “আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা চাও।” অতঃপর আমি কিছুদিন থেমে থাকার পর পুনরায় এসে বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন জিনিস শিখিয়ে দিনযা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেব।’ তিনি আমাকে বললেন, “হে আব্বাস! হে আল্লাহর রসূলের চাচা! আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা কর।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)[24]
25/1497 وَعَنْ شَهْرِ بنِ حَوشَبٍ، قَالَ: قُلْتُ لأُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، يَا أُمَّ المُؤمِنِينَ، مَا كَانَ أَكثَرُ دُعَاءِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِذَا كَانَ عِنْدَكِ ؟ قَالَتْ: كَانَ أَكْثَرُ دُعَائِهِ: «يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
২৫/১৪৯৭। শাহর ইবনে হাওশাব হতে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিততিনি বলেনআমি উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা কে বললামহে মুমিন জননী! আল্লাহর রসূল যখন আপনার নিকট অবস্থান করতেনতখন কোন দোআ তিনি অধিক মাত্রায় পাঠ করতেনতিনি বললেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ  এই দোআ পড়তেন, ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি ষাবিবত ক্বালবী আলা দীনিক।’ অর্থাৎ হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। (তিরমিযীহাসান) [25] 
26/1498 وَعَنْ أَبِيْ الدَّردَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «كَانَ مِنْ دُعَاءِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَلَام: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ، وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ، وَالْعَمَلَ الذِّيْ يُبَلِّغُنِيْ حُبَّكَ  اَللهم اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِن نَّفْسِيْ، وَأَهْلِيْ، وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ» روَاهُ الترمذيُّ وَقَالَ: حديثٌ حسنٌ
২৬/১৪৯৮। আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দাউদ (আঃ)-এর এতটি দোআ ছিল: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুববাকা ওয়া হুববা মাইয়্যুহিববুকা ওয়াল আমালাল্লাযী ইউবাল্লিগুনী হুববাকাআল্লাহুম্মাজআল হুববাকা আহাববা ইলাইয়্যা মিন নাফসী ওয়া আহলী ওয়া মিনাল মাইল বারিদ” (হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার ভালবাসা চাচ্ছি এবং সেই লোকের ভালবাসা চাচ্ছিযে তোমাকে ভালবাসেআর এমন আমল চাচ্ছিযা আমাকে তোমার ভালবাসার নিকট পৌঁছিয়ে দিবে। হে আল্লাহ! আমার কাছে তোমার ভালবাসাকে আমার জীবনআমার পরিবার-পরিজন ও ঠাণ্ডা পানির চেয়ে অধিক প্রিয় কর)।  (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[26]
27/1499 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «أَلِظُّوا بـ ( يَاذا الجَلاَلِ والإكْرامِ )». رواه الترمذي، ورواه النسائي من رواية ربيعة بن عامِرٍ الصحابي، قَالَ الحاكم: حديث صحيح الإسناد
২৭/১৪৯৯। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ইয়া যাল জালালি অলইকরাম!’ বাক্যটি আবশ্যিকভাবে বড্ড গুরুত্ব দাও।” (তিরমিযী,নাসায়ী সাহাবী রাবীআহ ইবন আমের থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকেম বলেছেনহাদিসটির সনদ সহীহ)[27]
28/1500 وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَة رضي الله عنه قَالَ: دَعَا  رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِدُعَاءٍ كَثِيْرٍ، لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئاً، قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ دَعَوْتَ بِدُعَاءٍ كَثِيرٍْ لَمْ نَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئاً، فَقَالَ: «أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلىٰ مَا يَجْمَعُ ذَلِكَ كُلَّهُ ؟ تَقُوْلُ: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِمَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ، َوأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحمَّدٌ، وَأَنْتَ المُسْتَعَانُ، وَعَلَيْكَ الْبَلَاغُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ» رواهُ الترمذيُّ وقَالَ: حديثٌ حَسَنٌ .
২৮/১৫০০। আবূ উমামাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগণিত দো‘আ করেছিলেন, তার কোনটি আমরা স্মরণ রাখতে পারলাম না। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ! আপনি অধিক সংখ্যক দো‘আ করেছেন, তার কিছুই আমরা মনে রাখতে পারিনি। তিনি বললেন: তোমাদেরকে আমি কি এরূপ একটি দো‘আ শিখিয়ে দেব না, যা সব দো‘আকে সংযুক্ত করবে? তোমরা বল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরি মা সাআলাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন শাররি মাস্তা‘আযাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ওয়া আনতাল মুসতা‘আনু ওয়া আলাইকাল বালাগ, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা, ইল্লা বিল্লাহ” (হে আল্লাহ! তোমার নিকট সেই সকল কল্যাণ কামনা করছি, যা তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার নিকট প্রার্থনা করেছেন। আর তোমার নিকট সেই সকল অকল্যাণ হতে আশ্রয় কামনা করছি যে সকল অকল্যাণ হতে তোমার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তুমিই সাহায্যকারী। তোমার নিকট সব পৌঁছে যাবে এবং তোমার সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বিরত থাকার ও পুণ্য করার ক্ষমতা কারো নেই। (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[28]
29/1501 وَعَنِ ابْنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ مِنْ دُعَاءِ رَسُوْلِ اللهصلى الله عليه وسلم: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالفَوْزَ بِالْجَنَّةِ، وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ» .
২৯/১৫০১। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি দোআ ছিল: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মুজিবাতি রহমাতিকাওয়া আযাইমা মাগফিরাতিকাওয়াস সালামাতা মিন কুলি ইসমিন ওয়াল গনীমাতা মিন কুলি বিররিন,ওয়াল ফাওযা বিল জান্নাতি ওয়ান নাজাতা মিনান নার” (হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার রহমত নির্ধারণকারী বিষয় প্রার্থনা করছি,তোমার মাগফিরাতের কার্যকারণসমূহ প্রার্থনা করছিআর (প্রার্থনা করছি) প্রতিটি গুনাহ হতে দূরে থাকা ও প্রতিটি নেকী লাভ করা এবং জান্নাতের সাফল্য ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি)[29]





[1] তিরমিযী ৩৩৭২২৯৬৯৩২৪৭ইবনু মাজাহ ৩৮২৮
[2] আবূ দাউদ ১৪৮২আহমাদ ২৭৬৫০২৭৬৪৯
[3] সহীহুল বুখারী ৪৫২২৬৩৮৯মুসলিম ২৬৮৮তিরমিযী ৩৪৮৩আবূ দাউদ ১৫১৯আহমাদ ১১৫৭০১১৫৩৮১২৭৫১১২৭৭৪১৩১৬৮,১৩৫২৪১৩৬৫৩
[4] মুসলিম ২৭২১তিরমিযী ৩৪৮৯ইবনু মাজাহ ৩৮৩২আহমাদ ৩৬৮৪৩৮৯৪৩৯৪০৪১২৪৪১৫১৪২২১
[5] মুসলিম ২৬৯৭ইবনু মাজাহ ৩৮৪৫আহমাদ ১৫৪৪৮২৫৬৭০
[6] মুসলিম ২৬৫৪আহমাদ ৬৫৩৩৬৫৭৩
[7] সহীহুল বুখারী ৬৩৪৭৬৬১৬মুসলিম ২৭০৭নাসায়ী ৫৪৯১৫৪৯২৭৩০৮
[8] মুসলিম ২৭২০
[9] মুসলিম ২৭২৫নাসায়ী ৫২১০৫২১২৫৩৭৬আবূ দাউদ ৪২২৫আহমাদ ৬৬৬১১৬৬১৩২৩
[10] সহীহুল বুখারী ২৮২৩৪৭০৭৬৩৬৭৬৩৬৯৬৩৭১মুসলিম ২৭০৬তিরমিযী ৩৪৮৪৩৪৮৫নাসায়ী ৫৪৪৮-৫৪৫২৫৪৫৭৫৪৫৯,৫৪৭৬৫৪৯৫৫৫০৩আবূ দাউদ ১৫৪০৩৯৭২আহমাদ ১১৭০৩১১৭৫৬১১৮১৬১২৪২২১৩৬৬৩১২৭২০১২৭৬০১২৮২১১২৮৯১
[11] সহীহুল বুখারী ৮৩৪৬৩২৬৭৩৮৮মুসলিম ২৭০৫তিরমিযী ৩৫৩১নাসায়ী ১৩০২ইবনু মাজাহ ৩৮৩৫আহমাদ ৮২৯
[12] সহীহুল বুখারী ৬৩৯৮৬৩৯৯মুসলিম ২৭১৯আহমাদ ১৯২৩৯
[13] মুসলিম ২৭১৬নাসায়ী ১৩০৭৫৫২৩৫৫২৪ থেকে ৫৫২৮আবূ দাউদ ১৫৫০ইবনু মাজাহ ৩৮৩৯আহমাদ ২৩৫১৩২৪৫৬১২৫২৫৬,২৫৬৭৩২৫৮৩৬
[14] মুসলিম ২৭৩৯আবূ দাউদ ১৫৪৫
[15] মুসলিম ২৭২২তিরমিযী ৩৫৭২নাসায়ী ৫৪৫৮৫৫৩৮
[16] সহীহুল বুখারী ১১২০৬৩১৭৭৩৮৫৭৪৪২৭৪৯৯মুসলিম ৭৬৯তিরমিযী ৩৪১৮নাসায়ী ১৬১৯আবূ দাউদ ৭৭১ইবনু মাজাহ ১৩৫৫,আহমাদ ২৭০৫২৭৪৩২৮০৮৩৩৫৮৩৪৪৮মুওয়াত্তা মালিক ৫০০দারেমী ১৪৮৬
[17] সহীহুল বুখারী ৮৩৩২৩৯৭৬৩৬৮৬৩৭৫৬৩৭৬৬৩৭৭৭১২৯মুসলিম ৫৮৭৫৮৯নাসায়ী ১৩০৯৫৪৫৪৫৪৬৬৫৪৭২৫৪৭৭,৫৪০৪ইবনু মাজাহ ৩৮৩৮আহমাদ ২৪০৫৭২৪০৬১২৫৭৯৫আবূ দাউদ ১৫৪৩তিরমিযী ৩৪৮৯
[18] তিরমিযী ৩৫৯১
[19] তিরমিযী ৩৪৯২নাসায়ী ৫৪৫৫৫৪৫৬আবূ দাউদ ১৫৫১
[20] আবূ দাউদ ১৫৫৪নাসায়ী ৫৪৯৩আহমাদ ১২৫৯২
[21] আবূ দাউদ ১৫৪৭নাসায়ী ৫৪৬৮৫৪৬৯
[22] তিরমিযী ৩৫৬৩আহমাদ ১৩২১
[23] আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী এরূপই বলেছেন। সম্ভবত (এরূপ হাসান বলাটা) তিরমিযীর কোন কোন কপিতে এসেছে। কিন্তু বূলাক ছাপায় (২/২৬১) তিনি বলেনঃ হাদীসটি গারীব। অর্থাৎ দুর্বল। এর সনদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এরূপ হওয়াই উচিত। কারণ এর সনদে বিচ্ছিন্নতা এবং দুর্বলতা রয়েছে। (এর বর্ণনাকারী শাবীবকে হাফিয যাহাবী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন)। এটিকে ইবনু হিববান (২৪৩১) ও আহমাদ (৪/৪৪৪) অন্য সূত্রে اللهم قني شر نفسي واعزم على رشدي أمري ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এ ভাষার সনদটি শাইখাইনের (বুখারী এবং মুসলিমের) শর্তানুযায়ী সহীহ্।
আর ইমাম আহমাদ (৪/২১৭) বর্ণনা করেছেন যেরসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেনঃ اَللهم اغْفِرْ لِـى ذَنْبِى خَطَـئِى وَعَمْدِى اَللهم إِنِّى أَسْتَهْدِيكَ لأَرْشَدِ أَمْرِى وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِى এর সনদটিও ভালো।
[24] তিরমিযী ৩৫৯৪
[25] তিরমিযী ৩৫২২আহমাদ ২৫৯৮০২৬০৩৬২৬১৩৯
[26]  আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম তিরমিযী এরূপই বলেছেন। অথচ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ হাদীসটির সনদে আব্দুল্লাহ্ ইবনু রাবীয়াহ্ দেমাস্কী রয়েছেন। আর তিনি হচ্ছেন মাজহূল যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন।
[27] তিরমিযী ৩৫২৪৩৫২৫
[28]  এ হাদীসটি দুর্বল। লাইস ইবনু আবী সুলাইমের মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটার কারণে। দেখুন ঈফা” (৩৩৫৬), “ঈফু তিরমিযী” (৩৫২১) ও ঈফু আদাবিল মুফরাদ” (৬৭৯)।
[29]  আমি (আলবানী) বলছিঃ হাকিম এরূপই বলেছেন অথচ এর সনদের মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছেন যার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। বিস্তারিত জানতে দেখুন ঈফা” (২৯০৮)। তিনি ঈফা” হাদীসটিকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। এর বর্ণনাকারী খালাফ ইবনু খালীফাহ্ হেফযের দিক থেকে বিতর্কিত ব্যক্তি। কেউ কেউ তাকে মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী করেছেন। হাফিয যাহাবী তাকে আয্যুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর ইবনু ওয়াইনাহ্ বলেছেনঃ তিনি মিথ্যা বলেন। হাফিয ইবনু হাজার আত্তাক্বরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। দুআটির শুধুমাত্র প্রথম (اللهم إني أسألك موجبات رحمتك وعزائم مغفرتكএ অংশের সাথে মিল রয়েছে অবশিষ্ট অংশের মিল নেই এরূপ সহীহ্ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। দেখুন সহীহাহ্” (৩২২৮)
_________________________________________________________________________________

সংকলন : ইমাম মুহিউদ্দীন আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবন শরফ আন-নাওয়াবী রহ.
হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ণয় : শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ. 
অনুবাদক : বিশিষ্ট আলেমবর্গ 
অনুবাদ সম্পাদনা : আব্দুল হামীদ ফাইযী
সূত্র : ইসলামহাউজ