ডকুমেন্ট পড়ুন: দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে ▐ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায়ের পদ্ধতি ▐ কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান ▐ গুরুত্বপূর্ণ দোআ সমূহ ▐ কবরের আযাব ▐ আল কুরআনের আলোকে আল্লাহর পথে দানের গুরুত্ব ▐ ঈমান সুদৃঢ় রাখার কিছু উপায় ▐ আল্লাহর হক ▐ জান্নাতে প্রবেশের কিছু উপায়▐ নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি ▐ আমাদের দেশে প্রচলিত কয়েকটি বড় ধরনের বিদ'আত ▐ পুন্যের অসংখ্য পথ ▐ কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত ▐ যদি সবকিছু পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পাদনের জন্যে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে কেন ? ▐ তাওবার ফজিলত ▐ মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ▐ অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : অহংকার ▐ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল ▐ দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান ▐ একশটি কবীরা গুনাহ ▐ ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর ▐ মৃত-ব্যক্তির জন্য করণীয় কাজের মাসনূন পদ্ধতি ▐ দান-ছদকার ফযীলত ▐ ইসলামে নারীর যৌন অধিকার ▐ আমরা যেভাবে আল্লাহ্‌র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করব ▐ কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম ▐ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ: গুরুত্ব ও তাৎপর্য ▐ প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা ▐ বিয়ের প্রস্তাব : করণীয় ও বর্জনীয় ▐ কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত ▐ মিউজিক কি হারাম ? ▐ যে সকল কারণে একজন মুসলমান ইসলামচ্যুত হয়ে যায় তথা কাফির হয়ে যায় ▐ বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ ▐ পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর ▐ দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা ▐ যে সব ভুল-ভ্রান্তির কারণে দু'আ কবুল হয়না ▐ কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস ▐ বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা ▐ তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত ▐ ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব ▐





Peace TV Bangla Live

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব

الحمد لله رب العالمين، وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمدٍ وعلى آله وصحبه أجمعين. وبعد:
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে খাবার গ্রহণের আদব বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। কেননা খাওয়া-দাওয়া আমাদের প্রাত্যহিক বিষয়। তাই এ বিষয়ের আদব ভাল করে রপ্ত করাও জরুরি। উলামগণ এ বিষয়টিকে বিশ্লিষ্ট আকারে বর্ণনা করেছেন। ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। কেননা এ বিষয়ে বহু হাদীস, ও শরয়ী টেক্সট রয়েছে। শরীয়ত মানবজীবনের সকল দিককেই যথার্থরূপে গুরুত্ব দিয়েছে। উপরন্তু যে দিকটি মুসলমানের জীবনে বেশি উপস্থিত সে দিকটির উপর শরীয়তের গুরুত্ব প্রদানের মাত্রাও সমানুপাতিক হারে অধিক।


• খাদ্য বিষয়ক অথবা খাবার গ্রহণের আদব অনেক; খাবার গ্রহণের আদবের মধ্যে হল:

এক: খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত ধৌত করা। নাসায়ী শরীফের একটি সহীহ হাদীসে এসেছে, 
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম ' যখন জুনুব (স্বামী-স্ত্রী মিলনজনিত অপবিত্র) অবস্থায় ঘুমাতে যেতেন তখন তিনি ওজু করে নিতেন। আর যখন তিনি খাবার গ্রহণের ইচ্ছা করতেন তখন হাত ধুয়ে নিতেন।) 
হাদীসটি আলোচ্য মাসআলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুই: খাবার গ্রহণের পূর্বে আল্লাহর নাম নেয়া। এ সম্পর্কে অনেক হাদীস এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
' হে বালক! আল্লাহর নাম নাও' ( অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বল) 
বরং আরো স্পষ্ট ভাষায় এভাবে এসেছে : 
( হে বালক! যখন তুমি খাবার গ্রহণ করতে ইচ্ছা করবে, বল, বিসমিল্লাহ।

তিন: ডান হাত দিয়ে খাবার গ্রহণ করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
( ডান হাত দিয়ে খাও)

চার: খাবারের নিকটবর্তী হয়ে খাবার গ্রহণ করা, হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
হে বৎস! কাছে এসো'।

পাঁচ: খাবার গ্রহণকারী তার কাছের অংশ থেকে খাবে, হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(তোমার কাছের অংশ থেকে খাও)

ছয়: বিচ্ছিন্নভাবে নয় বরং সম্মিলিতভাবে খাবার গ্রহণ করা, হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(তোমরা জমায়েত হয়ে খাবার গ্রহণ কর, তাতে আল্লাহর নাম স্মরণ কর। খাবারে তোমাদেরকে বরকত দেয়া হবে) 
জমায়েত হয়ে খাবার গ্রহণের একটি ফল এই যে এ অবস্থায় একজনের খাবার দু'জনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়, আর দু'জনেরটা তিনজন বা চারজনের জন্য। আর চারজনেরটা পাঁচ অথবা ছয়জনের জন্য। হাদীসটি বিশুদ্ধ এবং ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে।

সাত ও আট: খাবার শেষে রুমাল অথবা অন্যকিছু দিয়ে হাত না মুছা যতক্ষণ না তা চেটে অথবা চাটিয়ে পরিচ্ছন করা হবে। 
নাসায়ী শরীফের সহীহ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(তোমাদের মধ্যে কেউ যখন খাবার খাবে, সে যেন তার হাত না মুছে যতক্ষণ না সে তা চেটে অথবা অন্যকে দিয়ে চাটিয়ে নেয়। আর থালা যেন উঠিয়ে না নেয় যতক্ষণ না তা লেহন করা হবে; কেননা খাবারের শেষ অংশটায় বরকত রয়েছে।) 
এটা হল খাবারের আট নম্বর আদব। অর্থাৎ থালা লেহন করে খাবারের শেষ অংশের বরকত নেওয়া।

নয়: খাবারের লোকমা পড়ে গেলে তা পরিত্যাগ না করা; কেননা হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় এবং তার হাত থেকে লোকমা পড়ে যায়, তাহলে যে অংশে (ময়লা লেগেছে বলে) সন্দেহ হয় তা সরিয়ে ফেলবে, এবং ভক্ষণ করবে। শয়তানের জন্য ফেলে রাখবে না।)

দশ: সদ্য রান্না করা খাবারের ধোঁয়া নিঃশেষ হয়ে স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা; হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
( ওটা অধিক বরকতের কারণ)

এগার: খাবারে ফুৎকার না করা, খাবারে ফুৎকারের হয়ত ক্ষতির দিক রয়েছে যা আমাদের জানা নেই।

বার: এক পার্শ্ব থেকে খাবার খাওয়া; হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
( তোমরা খাবারের পার্শ্ব থেকে খাও, মধ্যভাগ ছেড়ে দাও, ওতে তোমাদেরকে বরকত দেওয়া হবে।) 
অন্য এক হাদীসে তিনি বলেছেন, 
( বিসমিল্লাহ বলে খাবারের পার্শ্ব থেকে খাও, তার প্রধান অংশ ছেড়ে দাও; কেননা খাবারের বরকত উপর দিক থেকে আসে।) 
তিনি আরো বলেছেন, 
( বরকত, পাত্রের মধ্যখানে, অতঃপর তোমরা পার্শ্ব থেকে খাও, প্রধান অংশ থেকে খেয়ো না।)

তের: মাটিতে বসে খাওয়া; কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(একজন দাস যেভাবে খায় আমিও সেভাবে খাই, একজন দাস যেভাবে বসে আমিও সেভাবে বসি; আর আমি তো দাস ভিন্ন অন্য কিছু নই।) 
অন্য এক হাদীসে বলেছেন, 
(একজন দাস যেভাবে খারার খায় আমিও সেভাবে খাবার খাই, আমার আত্মা যার হাতে তার কসম, দুনিয়া যদি আল্লাহর কাছে একটি মাছির পাখা পরিমাণ ওজনসম্পন্ন হত, তাহলে কোনো কাফেরকে তিনি এক ঢোক পানিও খেতে দিতেন না।)

চৌদ্দ: খাদেম যখন পরিবেশনের জন্য খাবার নিয়ে আসে তখন তাকে ওই খাবার থেকে কিছু দেয়া; কেননা বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে, 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(যখন কারও কাছে তার খাদেম- যে খাবার তৈরি ও ধোঁয়ার কষ্ট সয়েছে- খাবার নিয়ে আসবে সে যেন তাকে তার সঙ্গেই বসায়, আর যদি না বসায় তাহলে যেন এক লোকমা বা দুই লোকমা তাকে দেয়।) 
এতে একদিকে রন্ধনকারী খাদেম, যে খাবার পাকাতে শ্রম দিয়েছে, ধোঁয়া আগুনের তাপ ইত্যাদি সহ্য করেছে, তাকে সাথে বসিয়ে পুরস্কৃত করার আদর্শ পাওয়া যাচ্ছে, অন্য দিকে তাওয়াজু ও বিনম্রতারও একটি দিক রয়েছে।

পনের: খাবার পছন্দ না হলে উহ্‌ আহ্‌ না করা, বিরক্তিভাব প্রকাশ না করা, বরং কেবল গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা। হাদীসে এসেছে, 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(যদি তার মনঃপূত হয় খাবে, অন্যথায় রেখে দিবে।) 
অন্য এক হাদীসে এসেছে, 
(নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন গুইসাব খেতে দেয়া হল, তিনি তা রেখে দিলেন এবং বললেন, এটা আমার কাওমের এলাকায় নেই। তাই এতে আগ্রহ পাচ্ছি না।)

ষোল: খেজুরে কোনো পোকা আছে কি-না তা দেখে নেয়া। আবু দাউদ শরীফের একটি সহীহ হাদীসে এসেছে, 
(আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে পোকাবিশিষ্ট খেজুর নিয়ে আসা হত, অতঃপর তিনি তা তালাশ করে বের করতেন)

সতের: খাবারের পরে দোআ পড়া। হাদীসে অনেক দোআর কথা এসেছে, তন্মধ্যে একটি হল,(আলহামদু লিল্লাহ) বলা।

আঠার: কেউ যখন গোশ্‌ত পাকাবে তার উচিত হবে ঝোল বাড়িয়ে দেয়া, এবং তা থেকে প্রতিবেশীকে দেয়া। হাদীসে এসেছে, 
(তোমরা যখন গোশ্‌ত পাকাবে, তাতে ঝোল বাড়িয়ে দেবে, প্রতিবেশীর ক্ষেত্রে এটা একটা বদান্যতা।) 
তিনি আরো বলেছেন, 
(তোমাদের মধ্যে যখন কেউ পাতিলে রান্না করবে, সে যেন তার ঝোল বাড়িয়ে দেয়, এবং তা থেকে প্রতিবেশীকে দেয়।) 
অর্থাৎ খাবার ও ঝোল উভয়টাই।

ঊনিশ: খাবারে মাছি পড়ে গেলে করণীয় কী ? এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একটি আদব আমরা জানতে পারি, আর তা হল, হাদীসে এসেছে যে, 
(তোমাদের কারও পাত্রে মাছি পড়ে গেলে সে যেন তা ডুবিয়ে দেয়, কেননা ওর এক ডানায় রোগ ও অন্য ডানায় শেফা রয়েছে। মাছির যে ডানায় রোগ সেটা দিয়ে সে প্রতিরোধ করে।) 
অন্য এক বর্ণায় এসেছে, 
(আর মাছি বিষটাকে এগিয়ে দেয়, শেফাটাকে পিছিয়ে রাখে, অতঃপর ওর পুরোটা ডুবিয়ে দিলে তা চলে যায়)

বিশ: বিরক্তিকর উচ্চ আওয়াজে খাবার না চিবানো, হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
( তোমার এই বিরক্তিকর উচ্চ আওয়াজ বন্ধ কর) 
অন্য বর্ণনায় এসেছে, 
( তোমার এই বিরক্তিকর উচ্চ আওয়াজ হতে বারণ হও।)

একুশ: হাত ধুয়ে পরিষ্কার করা, বিশেষ করে ঘুমানোর পূর্বে, হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
(তোমাদের মধ্যে যখন কেউ ঘুমাতে যাবে আর তার হাতে খাবারের গন্ধ রয়েছে- যেমন গোশ্‌ত, চর্বি ইত্যাদির গন্ধ- সে যেন তা ধুয়ে নেয়, অন্যথায় কোনো কিছু হলে তার দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে।)

বাইশ: রাতের খাবার রাখা হলে এশার সালাতের সময় হয়ে গেলে প্রথমে খাবার খেয়ে নেবে, খাবার রেখে তাড়াহুড়া করবে না।

তেইশ: খাবার গ্রহণের সময় বসার পদ্ধতির প্রতি নজর দেয়া জরুরি। ডান পা দাঁড় করিয়ে বাঁ পায়ের উপর বসতে হবে। অথবা উবু হয়ে বসবে। হেলান দিয়ে বসবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
( আর আমি, আমি তো হেলান দিয়ে খাই না।)

চব্বিশ: আর পেটের উপর শুয়ে খাবে না। কেননা হাদীসে এভাবে খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

পঁচিশ: পূর্ণরূপে তৃপ্ত না হওয়া; হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
একতৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, একতৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য, আরেক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য। বনি আদমের তো মাত্র কয়েক লোকমাই যথেষ্ট যা তার মেরুদণ্ড সোজা রাখবে। 
রকমারি খাবার ও পানীয়ে অপচয়কে তিনি নিন্দা করেছেন।

ছাব্বিশ: তিন আঙ্গুল দিয়ে খাবার গ্রহণ করা; হাদীসে এসেছে, 
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন আঙ্গুল দিয়ে খেতেন। আর তিনি যখন খাবার খেতেন, তিনি তাঁর আঙ্গুল তিনটি চেটে খেতেন।

সাতাশ: অন্য কারও সাথে খাওয়ার সময় দুই খেজুর অথবা এ জাতীয় খাবার একসাথে না নেয়া। হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'ইকরান' তথা দু' খেজুর একসাথে নেয়াকে নিষেধ করেছেন। ইকরান হল দুই অথবা ততোধিক খেজুর, ফল ইত্যাদি যা হিসেব করা যায়, এগুলোর মধ্যে দুটি একসাথে উঠিয়ে নেয়া অনুচিত। তবে যদি তার সাথী অনুমতি দেয় সে ক্ষেত্রে অন্য কথা। হাদীসে এসেছে, ( তবে যদি ব্যক্তি তার ভাইয়ের কাছে অনুমতি চায়।)

আটাশ: হারাম খাবারবিশিষ্ট দস্তরখানে না বসা। এটা অবশ্য আদব নয় বরং বিধান। হাদীসে এসেছে,
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন দস্তরখানে বসতে নিষেধ করেছেন যেখানে মদ্যপান করা হয়।)

ঊনত্রিশ: খাবারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা, এমনকী খাবারের ধরন-ধারণের ক্ষেত্রেও, 
এর প্রমাণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীস, 
( রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরমুজের সাথে তাজা খেজুর খেতেন, এবং বলতেন, (আমি এটার তপ্ততা ওটার শীতলতা দিয়ে দমন করি। আর ওটার শীতলতা এটার তপ্ততা দিয়ে দমন করি।) 
এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাবারের প্রকার ও ধরনে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি নির্দেশ করছে।

তিরিশ: পিঁয়াজ, রসুন, এবং লীক (গন্ধে ও স্বাদে পিঁয়াজের মতো সবজি) খাওয়ার পর মসজিদে না যাওয়া।

একত্রিশ: ইসলামী শরীয়ত যেসব খাবারের ফজিলত বর্ণনা করেছে সে সবের প্রতি গুরুত্বারোপ করা। হাদীসে এসেছে, 
(যে বাড়িতে খেজুর নেই সে বাড়িতে যেন খাবারই নেই।) 
অন্য এক হাদীসে এসেছে, 
(যে বাড়িতে খেজুর নেই সে বাড়ীর লোকজন ক্ষুধার্ত। 
আরেক হাদীসে এসেছে, 
( তোমরা তেল খাও ও শরীরে ব্যবহার কর।)

অর্থাৎ খাবার হিসেবে খেজুরের প্রতি গুরুত্ব এসেছে, যাইতুনের তেল (ওলিভ ওয়েল) এর প্রতি গুরুত্ব এসেছে। তদ্রুপভাবে সিরকা (ভিনেগার) এর প্রতিও গুরুত্ব এসেছে। হাদীসে এসেছে, 
(সিরকা, সুন্দর এক ব্যঞ্জন।) 
এগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার পর যার যার পছন্দতম হালাল খাদ্য খাবে। উদাহরণত, 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রান ও কদু পছন্দ করতেন।

খাবার বিষয়ে যত্ন সম্পর্কে আরো বলা যায় যে ইসলামী শরীয়ত রুটিকে সম্মান করতে বলেছে। সে হিসেবে রুটি যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া, রুটির সাথে তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণ করা উচিত হবে না। হাদীসে এসেছে, 
( তোমরা রুটিকে সম্মান কর।) 
তবে রুটি চাকু দিয়ে কাটা যাবে না এমন কোনো কথা আসে নি। রুটিকে কেবল সম্মান করতেই বলা হয়েছে। এ কারণে রুটি ফেলে দেয়া যাবে না। যদি কেউ তা দেখে তবে অন্য খাবারের তুলনায় বেশি গুরুত্ব দেবে। সে হিসেবে মাটিতে ফেলে রাখা অবস্থায় যদি কেউ কোন রুটি পায় তবে তা উঠিয়ে উঁচু জায়গায় রাখবে, অথবা জন্তু ইত্যাদিকে খাওয়াবে।

খাবারের আদব ও তার কিছু আহকাম সম্পর্কে এখানে আলোচনা করলাম। ওলিমা, দাওয়াত ও মেহমানদারি সম্পর্কেও আদব আহকাম রয়েছে, উদাহরণত দাওয়াতকারী মুসলমান হলে, সে খাবার কোথা হতে পেল, অথবা কোত্থেকে ক্রয় করেছে ইত্যাদি প্রশ্ন না করা।


সমাপ্ত

লেখক: মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
অনুবাদক: আবু শুআইব মুহাম্মাদ সিদ্দীক
সূত্র: ইসলামহাউজ

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত


মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ (الاسراء: ٧٩) 
অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করএটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,
﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ (السجدة: ١٦) 
অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছিতা হতে তারা দান করে। (সূরা সেজদা ১৬ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,   
﴿ كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧ ﴾ (الذاريات: ١٧) 
অর্থাৎ তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। (সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত)

হাদীসসমূহ:

1/1167. وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى تَتَفَطَّرَ قَدَمَاهُ، فَقُلْتُ لَهُ: لِمَ تَصْنَعُ هَذَا، يَا رَسُولَ اللهِ، وَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأخَّرَ ؟ قَالَ: «أَفَلاَ أَكُونُ عَبْداً شَكُوراً؟»  متفقٌ عَلَيْهِ .
১/১১৬৭। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রির একাংশে (নামাযে) এত দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন যেতাঁর পা ফুলে ফাটার উপক্রম হয়ে পড়ত। একদা আমি তাঁকে বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি এত কষ্ট সহ্য করছেন কেন?অথচ আপনার তো পূর্ব ও পরের গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বললেন, “আমি কি শুকরগুযার বান্দা হব না?” (বুখারী ও মুসলিম)[1]
2/1168 وَعَن المُغِيرَةِ بن شُعبة  رضي الله عنه نَحْوهُ متفقٌ عَلَيْهِ
২/১১৬৮। মুগীরা ইবনে শুবা হতেও অনুরূপ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
3/1169 وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ لَيْلاً، فَقَالَ: «أَلاَ تُصَلِّيَانِ ؟» متفقٌ عَلَيْهِ
৩/১১৬৯। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতএকদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও ফাতেমার নিকট রাত্রি বেলায় আগমন করলেন এবং বললেন, “তোমরা (স্বামী-স্ত্রী) কি (তাহাজ্জুদের) নামায পড় না?” (বুখারী ও মুসলিম)[2]
4/1170 وَعَنْ سَالِمِ بنِ عَبدِ الله بنِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ  رضي الله عنهما، عَن أَبيِهِ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللهِ، لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيلِ». قَالَ سالِم: فَكَانَ عَبدُ اللهِ بَعْدَ ذَلِكَ لاَ يَنامُ مِنَ اللَّيلِ إِلاَّ قَلِيلاً . متفقٌ عَلَيْهِ
৪/১১৭০। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) বললেন, “আব্দুল্লাহ ইবনে উমার কতই না ভাল মানুষ হতযদি সে রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায পড়ত।” সালেম বলেন, ‘তারপর থেকে (আমার আব্বা) আব্দুল্লাহ রাতে অল্পক্ষণই ঘুমাতেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [3]
5/1171 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«يَا عَبدَ اللهِ، لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلاَنٍ ؛ كَانَ يَقُومُ اللَّيلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيلِ». متفقٌ عَلَيْهِ
৫/১১৭১। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনএকদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, “হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হইয়ো না। সে রাতে উঠে নামায পড়ততারপর রাতে উঠা ছেড়ে দিল।” (বুখারী ও মুসলিম)[4]
6/1172 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: «ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيطَانُ في أُذُنَيْهِ - أَوْ قَالَ: فِي أُذُنِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ
৬/১১৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনএমন একটি লোকের কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করা হলযে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাত্রি যাপন করে। তিনি বললেন, “এ এমন এক মানুষযার দুকানে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে।অথবা বললেন, “যার কানে প্রস্রাব করে দিয়েছে।” (বুখারী ও মুসলিম)[5]
7/1173 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «يَعْقِدُ الشَّيطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأسِ أَحَدِكُمْ، إِذَا هُوَ نَامَ، ثَلاَثَ عُقَدٍ، يَضْرِبُ عَلَى كُلِّ عُقْدَةٍ: عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ فَارْقُدْ، فَإِنِ اسْتَيقَظَ، فَذَكَرَ اللهَ تَعَالَى انحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَإِنْ تَوَضَّأَ، انْحَلّتْ عُقدَةٌ، فَإِنْ صَلَّى، انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّهَا، فَأَصْبَحَ نَشِيطاً طَيِّبَ النَّفْسِ، وَإِلاَّ أَصْبحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلاَنَ». متفقٌ عَلَيْهِ
৭/১১৭৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন) তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাতঅতএব তুমি ঘুমাও।’ অতঃপর যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর যিকির করেতাহলে একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি ওযু করেতবে তার আর একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি নামায পড়েতাহলে সমস্ত গাঁট খুলে যায়। আর তার প্রভাত হয় স্ফূর্তি ও ভালো মনে। নচেৎ সে সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।” (বুখারী ও মুসলিম)[6]
8/1174 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ: أَفْشُوا السَّلاَمَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَمٍ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
৮/১১৭৪। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে লোক সকল! তোমরা ব্যাপকভাবে সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্ন দাও এবং লোকে যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকবে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)[7] 
9/1175 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ: شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الفَرِيضَةِ: صَلاَةُ اللَّيْلِ». رواه مسلم
৯/১১৭৫। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।” (মুসলিম) [8]
10/1176 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ». متفقٌ عَلَيْهِ
১০/১১৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রাতের নামায দু’ দু’ রাকআত করে। অতঃপর যখন ফজর হওয়ার আশংকা করবেতখন এক রাকআত বিতির পড়ে নেবে।” (বুখারী ও মুসলিম) [9] 
11/1177 وَعَنْه، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ .متفقٌ عَلَيْهِ
১১/১১৭৭। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলায় দু’ দু’ রাকআত করে নামায পড়তেন এবং এক রাকআত বিতির পড়তেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)[10] 
12/1178 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يَصُومَ مِنْهُ، وَيَصُومُ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئاً، وَكَانَ لاَ تَشَاءُ أَنْ تَرَاهُ مِنَ اللَّيلِ مُصَلِّياً إِلاَّ رَأيْتَهُ، وَلاَ نَائِماً إِلاَّ رَأيْتَهُ . رواه البخاري
১২/১১৭৮। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘কোন কোন মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে রোযা ত্যাগ করতেন যেমনে হত তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত মাসে আর রোযাই রাখবেন না। অনুরূপভাবে কোন মাসে এমনভাবে (একাদিক্রমে) রোযা রাখতেন যেমনে হত তিনি ঐ মাসে আর রোযা ত্যাগই করবেন না। (তাঁর অবস্থা এরূপ ছিল যে,) যদি তুমি তাঁকে রাত্রিতে নামায পড়া অবস্থায় দেখতে না চাইতেতবু বাস্তবে তাঁকে নামায পড়া অবস্থায় দেখতে পেতে। আর তুমি যদি চাইতে যেতাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখবে নাকিন্তু বাস্তবে তুমি তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেতে।’ (বুখারী) [11]
13/1179 وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً ـ تَعْنِي فِي اللَّيلِ ـ يَسْجُدُ السَّجْدَةَ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأسَهُ، وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الفَجْرِ، ثُمَّ يَضْطَجِعُ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأتِيَهُ المُنَادِي للصَلاَةِ. رواه البخاري
১৩/১১৭৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগার রাকআত নামায পড়তেনঅর্থাৎ রাতে। তিনি মাথা তোলার পূর্বে এত দীর্ঘ সেজদা করতেন যেততক্ষণে তোমাদের কেউ পঞ্চাশ আয়াত পড়তে পারবে। আর ফরয নামাযের পূর্বে দু’ রাকআত সুন্নত নামায পড়ে ডান পাশে শুয়ে আরাম করতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর নিকট নামাযের ঘোষণাকারী এসে হাযির হত।’ (বুখারী)[12]
14/1180 وَعَنْها، قَالَتْ: مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَزيدُ - فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ - عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً: يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاثاً. فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ فَقَالَ: «يَا عَائِشَة، إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي».متفقٌ عَلَيْهِ
১৪/১১৮০। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও অন্যান্য মাসে (তাহাজ্জুদ তথা তারাবীহ) ১১ রাকআতের বেশী পড়তেন না। প্রথমে চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্পর্কে প্রশ্নই করো না। তারপর (আবার) চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে প্রশ্নই করো না। অতঃপর তিন রাকআত (বিতির) পড়তেন। (একদা তিনি বিতির পড়ার আগেই শুয়ে গেলেন।) আমি বললাম, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি বিতির পড়ার পূর্বেই ঘুমাবেন?” তিনি বললেন, “আয়েশা! আমার চক্ষুদ্বয় ঘুমায়কিন্তু অন্তর জেগে থাকে।” (বুখারী ও মুসলিম) [13]
15/1181 وَعَنْها: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيلِ، وَيَقُومُ آخِرَهُ فَيُصَلِّي . متفقٌ عَلَيْهِ
১৫/১১৮১। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে আরও বর্ণিত হয়েছে যেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথম দিকে ঘুমাতেন ও শেষের দিকে উঠে নামায পড়তেন। (বুখারী ও মুসলিম)[14]
(অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি এরূপ করতেন নচেৎ এর ব্যতিক্রমও করতেন।)
16/1182 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً، فَلَمْ يَزَلْ قَائِماً حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سُوءٍ ! قِيلَ: مَا هَمَمْتَ ؟ قَالَ: هَمَمْتُ أَنْ أَجِلْسَ وَأَدَعَهُ . متفقٌ عَلَيْهِ
১৬/১১৮২। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক রাতে নামায পড়েছি। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইলেন যেশেষ পর্যন্ত আমি একটা মন্দ কাজের ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম।’ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘সে ইচ্ছাটা কি করেছিলেন?’ তিনি বললেন, ‘আমার ইচ্ছা হয়েছিল যেতাঁকে ছেড়ে দিয়ে বসে পড়ি।’ (বুখারী ও মুসলিম) [15]
17/1183 وَعَنْ حُذَيفَةَ رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَافْتَتَحَ البَقَرَةَ، فَقُلْتُ: يَرْكَعُ عِنْدَ المئَةِ، ثُمَّ مَضَى، فَقُلتُ: يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَمَضَى، فَقُلتُ: يَرْكَعُ بِهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا، يَقرَأُ مُتَرَسِّلاً: إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسبِيحٌ سَبَّحَ، وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ، وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ، ثُمَّ رَكَعَ، فَجَعَلَ يَقُوْلُ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ العَظِيمِ»  فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْواً مِنْ قِيَامِهِ، ثُمَّ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا لَكَ الحَمْدُ» ثُمَّ قَامَ طَوِيلاً قَرِيباً مِمَّا رَكَعَ، ثُمَّ سَجَدَ، فَقَالَ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى» فَكَانَ سجُودُهُ قَريباً مِنْ قِيَامِهِ. رواه مسلم.
১৭/১১৮৩। হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক রাতে নামায পড়লাম। তিনি সূরা বাকারাহ আরম্ভ করলেন। আমি (মনে মনে) বললাম, ‘একশত আয়াতের মাথায় তিনি রুকু করবেন।’ (কিন্তু) তিনি তারপরও কিরাত চালু রাখলেন। আমি (মনে মনে) বললাম, ‘তিনি এরই দ্বারা (সূরা শেষ করে) রুকু করবেন।’ কিন্তু তিনি সূরা নিসা পড়তে আরম্ভ করলেন এবং সম্পূর্ণ পড়লেন। তারপর তিনি সূরা আলে ইমরান আরম্ভ করলেন এবং সম্পূর্ণ করলেন। তিনি স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে তেলাওয়াত করতেন। যখন এমন আয়াত আসতযাতে তাসবীহ পাঠ করার উল্লেখ আছেতখন (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠ করতেন। যখন কোন প্রার্থনা সম্বলিত আয়াত অতিক্রম করতেন,তখন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। যখন কোন আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত অতিক্রম করতেনতখন তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (অতঃপর) তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু করলেন। সুতরাং তিনি রুকুতে সুবহানা রাবিবয়াল আযীম’ পড়তে আরম্ভ করলেন। আর তাঁর রুকু ও কিয়াম (দাঁড়িয়ে কিরাত পড়া অবস্থা) এক সমান ছিল। তারপর তিনি রুকু থেকে মাথা তুলে সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহরাববানা অলাকাল হামদ’ (অর্থাৎ আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রশংসা শুনলেনযে তা তাঁর জন্য করল। হে আমাদের পালনকর্তা তোমার সমস্ত প্রশংসা) পড়লেন। অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ (কওমায়) দাঁড়িয়ে থাকলেন রুকুর কাছাকাছি সময় জুড়ে। তারপর সেজদা করলেন এবং তাতে তিনি পড়লেন, ‘সুবহানাল্লা রাবিবয়াল আ‘লা’ (অর্থাৎ আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। আর তাঁর সেজদা দীর্ঘ ছিল তার কিয়াম (দাঁড়িয়ে কিরাত পড়া অবস্থা)র কাছাকাছি। (মুসলিম) [16]
18/1184 وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «طُوْلُ القُنُوْتِ». رواه مسلم
১৮/১১৮৪। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলতিনি বললেন, “দীর্ঘ কিয়াম-যুক্ত নামায।” (মুসলিম) [17]
19/1185 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَحَبُّ الصَّلاةِ إِلَى اللهِ صَلاةُ دَاوُدَ، وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ صِيَامُ دَاوُدَ، كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَيَصُومُ يَوماً وَيُفْطِرُ يَوْماً». متفقٌ عَلَيْهِ
১৯/১১৮৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনে ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম নামাযদাউদ عليه السلام -এর নামায এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম রোযাদাউদ عليه السلام -এর রোযাতিনি অর্ধরাত নিদ্রা যেতেন এবং রাতের তৃতীয় ভাগে ইবাদত করার জন্য উঠতেন। অতঃপর রাতের ষষ্ঠাংশে আবার নিদ্রা যেতেন। (অনুরূপভাবে) তিনি একদিন রোযা রাখতেন ও একদিন রোযা ত্যাগ করতেন।” (বুখারী ও মুসলিম) [18]
20/1186 وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً، لاَ يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ يَسْألُ اللهَ تَعَالَى خَيْراً مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، إِلاَّ أعْطَاهُ إيَّاهُ، وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ». رواه مسلم
২০/১১৮৬। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বললেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “রাত্রিকালে এমন একটি সময় আছেকোন মুসলিম ব্যক্তি তা পেয়েই দুনিয়া ও আখিরাত বিষয়ক যে কোন উত্তম জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দিয়ে থাকেন। ঐ সময়টি প্রত্যেক রাতে থাকে।” (মুসলিম) [19]
21/1187 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَلْيَفْتَتِحِ الصَّلاَةَ بِرَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ».رواه مسلم
২১/১১৮৭। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ রাতে নামায পড়ার জন্য উঠবেসে যেন হাল্কা-ভাবে দু’ রাকআত পড়ার মাধ্যমে নামায শুরু করে।” (মুসলিম)[20]
22/1188 وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ بِرَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ . رواه مسلم
২২/১১৮৮। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (তাহাজ্জুদের) জন্য উঠতেনতখন দু’ রাকআত সংক্ষিপ্ত নামায পড়ার মাধ্যমে আরম্ভ করতেন।’ (মুসলিম)[21]
23/1189 وَعَنْها رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم  إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاةُ مِن اللَّيْلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيْرِهِ، صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَيْ عَشرَةَ ركْعَةً . رواه مسلم
২৩/১১৮৯। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিততিনি বলেন, ‘দৈহিক ব্যথা-বেদনা বা অন্য কোন অসুবিধার কারণে যদি রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের নামায ছুটে যেততাহলে তিনি দিনের বেলায় ১২ রাকআত নামায পড়তেন।” (মুসলিম) [22]
24/1190 وَعَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم«مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ، أَوْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ، فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الفَجْرِ وَصَلاَةِ الظُّهْرِ، كُتِبَ لَهُ كَأنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ». رواه مسلم
২৪/১১৯০। উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি স্বীয় অযীফা (দৈনিক যথা নিয়মে তাহাজ্জুদের নামায) অথবা তার কিছু অংশ না পড়ে ঘুমিয়ে পড়েঅতঃপর যদি সে ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে নেয়তাহলে তার জন্য তা এমনভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়যেন সে তা রাতেই পড়েছে।” (মুসলিম)[23]
25/1191 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «رَحِمَ اللهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ، فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا المَاءَ، رَحِمَ اللهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا، فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ المَاءَ». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
২৫/১১৯১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি দয়া করুনযে রাতে উঠে নামায পড়ে এবং নিজ স্ত্রীকেও জাগায়। অতঃপর যদি সে (জাগতে) অস্বীকার করেতাহলে তার মুখে পানির ছিটা মারে। অনুরূপ আল্লাহ সেই মহিলার প্রতি দয়া করুনযে রাতে উঠে নামায পড়ে এবং নিজ স্বামীকেও জাগায়। অতঃপর যদি সে (জাগতে) অস্বীকার করেতাহলে সে তার মুখে পানির ছিটা মারে।” (আবু দাউদবিশুদ্ধ সূত্রে)[24]
26/1192 وَعَنْه وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالاَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِذَا أَيْقَظَ الرَّجُلُ أهْلَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّيَا - أَوْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ جَمِيعاً، كُتِبَا فِي الذَّاكِرِينَ وَالذَّاكِرَاتِ». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
২৬/১১৯২। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় হতে বর্ণিততাঁরা বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে রাতে জাগিয়ে উভয়ে নামায পড়ে অথবা তারা উভয়ে দু’ রাকআত করে নামায আদায় করে,তবে তাদেরকে (অতীব) যিকিরকারী ও যিকিরকারিনীদের দলে লিপিবদ্ধ করা হয়।” (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে) [25]
27/1193 وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا نَعَسَ أحَدُكُمْ في الصَّلاَةِ، فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ، لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبَّ نَفْسَهُ». متفقٌ عَلَيْهِ
২৭/১১৯৩। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে তন্দ্রাভিভূত হবেতখন সে যেন নিদ্রা যায়যতক্ষণ না তার নিদ্রার চাপ দূর হয়ে যায়। কারণযখন কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নামায পড়বেতখন সে খুব সম্ভবত: ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে নিজেকে গালি দিতে লাগবে।” (বুখারী ও মুসলিম) [26]
28/1194 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ، فَاسْتَعْجَمَ القُرْآنَ عَلَى لِسَانِهِ، فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُوْلُ، فَلْيَضْطَجِع». رواه مسلم
২৮/১১৯৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ রাতে উঠবে ও (ঘুমের চাপের কারণে) জিহ্বায় কুরআন পড়তে এমন অসুবিধা বোধ করবে যেসে কি বলছে তা বুঝতে পারবে নাতখন সে যেন শুয়ে পড়ে।” (মুসলিম) [27] 





[1] সহীহুল বুখারী ৪৮৩৭১১১৮১১১৯১১৪৮১১৬১১১৬২১১৬৮মুসলিম ৭৩১২৮২০তিরমিযী ৪১৮নাসায়ী ১৬৪৮-১৬৫০আবূ দাউদ ১২৬২১২৬৩ইবনু মাজাহ ১২২৬১২২৭
[2] সহীহুল বুখারী ১১২৭৪৭২৪৭৩৪৭৭৪৬৫মুসলিম ৭৭৫নাসায়ী ১৬১১১৬১২আহমাদ ৫৭২৭০৭৯০২
[3] সহীহুল বুখারী ৪৪০১১২২১১৫৮৩৭৩৯৩৭৪১৭০১৬৭০২৯৭০৩১মুসলিম ২৪৭৮২৪৭৯তিরমিযী ৩২১নাসায়ী ৭২২ইবনু মাজাহ ৭৫১,৩৯১৯ আহমাদ ৪৪৮০৪৫৯৩৪৫৮৫৬২৯৪দারেমী ১৪০০২১৫২
[4] সহীহুল বুখারী ১১৩১১১৫২১১৫৩১৯৭৪-১৯৮০২৪১৮-২৪২৩৫০৫২-৫০৫৪৫১৯৯৬২৭৭মুসলিম ১১৫৯তিরমিযী ৭৭০নাসায়ী ১৬৩০২৩৪৪২৩৮৮-২৩৯৪২৩৯৬২৩৯৭২৩৯৯-২৪০৩আবূ দাউদ ১৩৮৮-১৩৯১২৪২৭২৪৪৮ইবনু মাজাহ ১৩৪৬১৭১২আহমাদ ৬৪৪১৬৪৫৫৬৪৮০৬৪৯১৬৭২১৬৭২৫৬৭৫০দারেমী ১৭৫২৩৪৮৬
[5] সহীহুল বুখারী ১১৪৪৩২৭০মুসলিম ৭৭৪নাসায়ী ১৬০৮১৬০৯ইবনু মাজাহ ১৩৩০আহমাদ ৩৫৪৭৪০৪৯
[6] সহীহুল বুখারী ১১৪২৩২৬৯মুসলিম ৭৭৬নাসায়ী ১৬০৭আবূ দাউদ ১৩০৬ইবনু মাজাহ ১৩২৯আহমাদ ৭২৬৬৭৩৯২১০০৭৫মুওয়াত্তা মালিক ৪২৬
[7] তিরমিযী ২৪৮৫ইবনু মাজাহ ১৩৩৪৩২৫১দারেমী ১৪৬০
[8] মুসলিম ১১৬৩তিরমিযী ৪৩৮৭৪০আবূ দাউদ ২৪২৯ইবনু মাজাহ ১৭৪২আহমাদ ৭৯৬৬৮১৮৫৮৩০২৮৩২৯১০৫৩২দারেমী ১৭৫৭,১৭৫৮
[9] সহীহুল বুখারী ৪৭২৪৭৩৯৯১৯৯৩৯৯৫৯৯৮১১৩৭মুসলিম ৭৪৯তিরমিযী ৪৩৭৬৪১১৬৬৬১৬৬৭১৬৬৮১৬৬৯১৬৭০,১৬৭১১৬৭২১৬৭৩১৬৭৪১৬৮২১৬৯২১৬৯৪আবূ দাউদ ১৪২১১৪৩৮ইবনু মাজাহ ১১৭৪১১৭৫১১৭৬১৩২২আহমাদ ৪৪৭৮,৪৫৪৫৪৬৯৬৪৭৭৬৪৮৩২৪৮৪৫৪৯৫১৫০১২৫০৬৬৫১০১৫১৯৫৫৩৭৬৪৫৩১৪৫৪৭৪৫৬৬৫৫১২মুওয়াত্তা মালিক ২৬১,২৬৯২৭৫২৭৬দারেমী ১৪৫৮
[10] ঐ
[11] সহীহুল বুখারী ১১৪১১৯৭২১৯৭৩মুসলিম ১১৫৮তিরমিযী ৭৬৯২০১৫নাসায়ী ১৬২৭আগ ১১৬০১১১৭১৯১২২১৩১২৪২১১২৪৭১,১২৬৫৪১২৭৬২১২৯৬০১২৯৯০১৩০৬১১৩২৩৮১৩৩০৪১৩৩৭০১৩৮৬১৩৪০৬
[12] সহীহুল বুখারী ৬২৬৯৯৪১১২৩১১৩৯১১৪০১১৬০১১৬৫৬৩১০মুসলিম ৭২৪৭৩৬৭৩৭৭৩৮তিরমিযী ৪৩৯৪৪০নাসায়ী ৬৮৫১৬৯৬১৭৪৯১৭৬২আবূ দাউদ ১২৫৪১২৫৫১২৬২১৩৩৪১৩৩৮১৩৩৯১৩৪০ইবনু মাজাহ ১১৯৮১৩৫৮আহমাদ ২৩৫৩৭২৩৫৫৩২৩৫৯৬২৩৬৬৮২৩৬৯৭২৩৭০৫২৩৯২৫২৩৯৪০২৪০১৬২৪০২৪২৪০৫৬২৪২১১২৪৩৩৯২৪৩৭৯২৪৪৮৬,২৪৫৮১২৪৭৪৫২৪৮১৬২৪৯০৭২৪৯৫৮২৫৫২০মুওয়াত্তা মালিক ২৪৩২৬৪দারেমী ১৪৪৭১৪৭৩১৪৭৫১৪৮৫
[13] সহীহুল বুখারী ১১৪৭২০১৩৩৫৬৯মুসলিম ৭৩৮তিরমিযী ৪৩৯নাসায়ী ১৬৯৭আবূ দাউদ ১৩৪১আহমাদ ২৩৫৫৩২৩৫৯৬২৩৭৪৮,২৩৯২৫২৩৯৪০২৪০১৬২৪০৫৬২৪১৯৪২৪২১১২৫২৭৭২৫৭৫৬২৫৮২৬মুওয়াত্তা মালিক ২৬৫
[14] সহীহুল বুখারী ১১৪৬মুসলিম ৭৩৯নাসায়ী ১৬৪০১৬৮০ইবনু মাজাহ ১৩৬৫আহমাদ ২৩৮১৯২৪১৮৫২৪৫৪২৫৬২৪
[15] সহীহুল বুখারী ১১৩৫মুসলিম ৭৭৩ইবনু মাজাহ ১৪১৮আহমাদ ৩৬৩৮৩৭৫৭৩৯২৭৪১৮৭
[16] মুসলিম ৭৭২তিরমিযী ২৬২নাসায়ী ১০০৮১০০৯১০৪৬১০৬৯১১৩৩১১৪৫১৬৬৪১৬৬৫আবূ দাউদ ৮৭১৮৭৪ইবনু মাজাহ ৮৮৮৮৯৭১৩৫১আহমাদ ২২৯৭৯২২৭৫০২২৭৮৯২২৮০০২২৮৩৩২২৮৫৪২২৮৫৮২২৫৬৬২২৮৯০২২৯০২দারেমী ১৩০৬
[17] মুসলিম ৭৫৬তিরমিযী ৩৮৭ইবনু মাজাহ ১৪২১আহমাদ ১৩৮২১১৪৭৮৮
[18] সহীহুল বুখারী ১১৩১১১৫২১১৫৩১৯৭৪ থেকে ১৯৮০৩৪১৮৩৪১৯৩৪২০৫০৫২৫০৫৩৫০৫৪৫১৯৯৬১৩৪৬২৭৭মুসলিম ১১৫০৯তিরমিযী ৭৭০নাসায়ী ১৬৩০২৩৪৪২৩৮৮ থেকে ২৩৯৪২৩৯৬২৩৯৭২৩৯৯ থেকে ২৪০৩আবূ দাউদ ১৩৮৮ থেকে ১৩৯১,২৪২৭২৪৪৮ইবনু মাজাহ ১৩৪৬১৭১২আহমাদ ৬৪৪১৬৪৫৫৬৪৮০৬৪৯১৬৭২১৬৭২৫৬৭৫০৬৭৯৩৬৮০২৬০৮২৩৬৮২৪,৬৮৩৪৬৮৩৭৬৮৭৫৬৮৮২৬৯৮৪৭০৫৮দারেমী ১৭৫২৩৪৮৬
[19] মুসলিম ৭৫৭আহমাদ ১৩৯৪৫১৪৩৩৬২৭৫৬৩
[20] মুসলিম ৭৬৮আবূ দাউদ ১৩২৩আহমাদ ৭১৩৬৭৬৯০৮৯৩১
[21] মুসলিম ৭৬৭আহমাদ ২৩৪৯৭২৫১৪৯
[22] মুসলিম ৭৪৬তিরমিযী ৪৪৫নাসায়ী ১৭২২১৭২৩১৭২৪১৭২৫১৭৮৯আবূ দাউদ ১৩৪২১৩৪৬১৩৫০২৪৩৪ইবনু মাজাহ ১১৯১,আহমাদ ২৩৭৪৮২৫৬৮৭দারেমী ১৪৭৫
[23] মুসলিম ৭৪৭তিরমিযী ৪০৮নাসায়ী ১৭৯০ থেকে ১৭৯২আবূ দাউদ ১৩১৩১৩৪৩২২০৩৭৯মুওয়াত্তা মালিক ৪৭০দারেমী ১৪৭৭
[24] আবূ দাউদ ১৩০৮নাসায়ী ১৬১০ইবনু মাজাহ ১৩৩৬আহমাদ ৭৩৬২
[25] আবূ দাউদ ১৩০৯ইবনু মাজাহ ১৩৩৫
[26] সহীহুল বুখারী ২১২মুসলিম ৭৮৬তিরমিযী ৩৫৫নাসায়ী ১৬২আবূ দাউদ ১৩১০ইবনু মাজাহ ১৩৭০আহমাদ ২৩৭৬৬২৫১৩৩২৫১৭১,২৫৬৯৯২৫৭৭৭মুওয়াত্তা মালিক ২৫৯দারেমী ১৩৮৩
[27] মুসলিম ৭৮৭আবূ দাউদ ১৩১১ইবনু মাজাহ ১৩৭২আহমাদ ২৭৪৫০
_________________________________________________________________________________

সংকলন : ইমাম মুহিউদ্দীন আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবন শরফ আন-নাওয়াবী রহ.
হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ণয় : শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ. 
অনুবাদক : বিশিষ্ট আলেমবর্গ 
অনুবাদ সম্পাদনা : আব্দুল হামীদ ফাইযী
সূত্র : ইসলামহাউজ