ডকুমেন্ট পড়ুন: দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে ▐ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায়ের পদ্ধতি ▐ কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান ▐ গুরুত্বপূর্ণ দোআ সমূহ ▐ কবরের আযাব ▐ আল কুরআনের আলোকে আল্লাহর পথে দানের গুরুত্ব ▐ ঈমান সুদৃঢ় রাখার কিছু উপায় ▐ আল্লাহর হক ▐ জান্নাতে প্রবেশের কিছু উপায়▐ নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি ▐ আমাদের দেশে প্রচলিত কয়েকটি বড় ধরনের বিদ'আত ▐ পুন্যের অসংখ্য পথ ▐ কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত ▐ যদি সবকিছু পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পাদনের জন্যে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে কেন ? ▐ তাওবার ফজিলত ▐ মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ▐ অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : অহংকার ▐ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল ▐ দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান ▐ একশটি কবীরা গুনাহ ▐ ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর ▐ মৃত-ব্যক্তির জন্য করণীয় কাজের মাসনূন পদ্ধতি ▐ দান-ছদকার ফযীলত ▐ ইসলামে নারীর যৌন অধিকার ▐ আমরা যেভাবে আল্লাহ্‌র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করব ▐ কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম ▐ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ: গুরুত্ব ও তাৎপর্য ▐ প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা ▐ বিয়ের প্রস্তাব : করণীয় ও বর্জনীয় ▐ কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত ▐ মিউজিক কি হারাম ? ▐ যে সকল কারণে একজন মুসলমান ইসলামচ্যুত হয়ে যায় তথা কাফির হয়ে যায় ▐ বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ ▐ পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর ▐ দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা ▐ যে সব ভুল-ভ্রান্তির কারণে দু'আ কবুল হয়না ▐ কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস ▐ বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা ▐ তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত ▐ ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব ▐





Peace TV Bangla Live

বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১২

আল্লাহর নামসমূহ, আসমাউল হুসনা


১. আল্লাহ্‌ -►(আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদের দান করার হুকুম দেন এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো ►নাহল:৯০)

২. আর রহমান -► পরম দয়াময় -► (রাণী বললো, “হে দরবারীরা! আমার প্রতি একটি  বড় গুরুত্বপূর্ণ পত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে.. তা সুলাইমানের পক্ষ থেকে এবং আল্লাহ্ রহমানুর রহীমের নামে শুরু করা হয়েছে” ► নামল:৩০)

৩. আর রহিম -► পরম দয়ালু -► (আর সেদিনটি হবে এমন দিন যেদিন আল্লাহ প্রদত্ত বিজয়ে মুসলমানরা আনন্দে উৎফুল্ল হবে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী ও মেহেরবান ► রুম:০৫)

৪. আল মালিক -► সর্বাধিকারী, বাদশাহ -► (আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে। তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় ► জুময়া:০১)

৫. আল কুদ্দুস -► নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র -► (আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে। তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় ► জুময়া:০১)

৬. আস সালাম -► শান্তি বিধায়ক -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ
কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

৭. আল মুমিন -► নিরাপত্তা বিধায়ক -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ
কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

৮. আল মুহায়মিন -► রক্ষাকারী, হিফাযতকারী -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ
কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

৯. আল আযিয -► প্রবল পরাক্রমশালী -► (তিনি মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি গঠন করেন । এই প্রবল পরাক্রান্ত মহাজ্ঞানের অধিকারী সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:০৬)

১০. আল জাব্বার -► পরাক্রমশীল -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

১১. আল মুতাকাব্বির -► অহংকারের ন্যায্য অধিকারী -► (আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি, নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী, সবার ওপর বিজয়ী, শক্তি বলে নিজের
নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম । এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম। আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ► হাশর:২৩)

১২. আল খালিক -► সৃষ্টিকর্তা -► (সে আল্লাহই -যিনি তোমাদের জন্য এসব করেছেন- তোমাদের রব, সবকিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তোমাদেরকে কোন্‌ দিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে ? ► মুমিনুন:৬২)

১৩. আল বারী -► উন্মেষকারী -► (সেই পরম সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী। উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই। আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী ► হাশর:২৪)

১৪. আল মুসাওবির -► রূপদানকারী -► (সেই পরম সত্তা তো আল্লাহ-ই যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের র্নিদেশ দানকারী এবং সেই অনুপাতে রূপদানকারী। উত্তম নামসমূহ তাঁর-ই। আসমান ও যমীনের সবকিছু তাঁর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করে চলেছে। তিনি পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী ►হাশর:২৪)

১৫. আল গাফফার -► মহাক্ষমাশীল -► (আমি বলেছি তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও । নিসন্দেহে তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল ► নুহ:১০)

১৬. আল কাহহার -► মহাপরাক্রান্ত -► (আল্লাহ যদি কাউকে পুত্র হিসেবে গ্রহণ করতে চাইতেন তাহলে তাঁর সৃষ্টিকুলের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিতেন। তিনি এ থেকে পবিত্র (যে, কেউ তাঁর পুত্র হবে)। তিনি আল্লাহ। তিনি একক ও সবার ওপর বিজয়ী ► যুমার:০৪)

১৭. আল ওয়াহহাব -► মহাবদান্য -► (এবং বললো, হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দাও এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করো যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভন হবে না; নিসন্দেহে তুমিই আসল দাতা ► সা’দ:৩৫)

১৮. আর রাজ্জাক -► জীবিকাদাতা -► (আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী ► যারিয়াত:৫৮)

১৯. আল ফাত্তাহ -► মহাবিচারক -► (বলুন, আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে সমবেত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞ ► সা’বা:২৬)

২০. আল আলীম -► মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ -► (আর যদি কোথাও তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিগড়ে যাবার আশংকা দেখা দেয় তাহলে পুরুষের আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন সালিশ এবং স্ত্রীর আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন
সালিশ নির্ধারণ করে দাও। তারা দুজন সংশোধন করে নিতে চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসা ও মিলমিশের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন । আল্লাহ সবকিছু জানেন , তিনি সর্বজ্ঞ ► নিসা:৩৫)

২১. আল কাবিদ -► সংকোচনকারী -► (তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত, যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন ? কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে ► বাকারা:২৪৫)

২২. আল বাসিত -► সম্প্রসারণকারী -► (তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘করযে হাসানা’ দিতে প্রস্তুত, যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তাকে ফেরত দেবেন ? কমাবার ক্ষমতা আল্লাহর আছে, বাড়াবারও এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে ► বাকারা:২৪৫)

২৩. আল খাফিদ -► অবনমনকারী -► (আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। ►সূরা ত্বীন:৪-৬)

২৪. আর রাফি -► উন্নয়নকারী -► ("মুমিনগণ, যখন তোমাদেরকে বলা হয়ঃ মজলিসে স্থান প্রশস্ত করে দাও, তখন তোমরা স্থান প্রশস্ত করে দিও। আল্লাহর জন্যে তোমাদের জন্য প্রশস্ত করে দিবেন। যখন বলা হয়ঃ উঠে যাও, তখন উঠে যেয়ো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর।" ►সূরা আল-মুজাদালা:  ১১)

২৫. আল মুইয্‌য -► সম্মানদাতা -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ► ইমরান:২৬)

২৬. আল মুযিল্ল -► হেয়কারী -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও
হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ► ইমরান:২৬)

২৭. আস সামী -► সর্বশ্রোতা -► (কাজেই সত্য বলতে কি, তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তোমরা নিক্ষেপ করনি বরং আল্লাহ নিক্ষেপ করেছেন। (আর এ কাজে মুমিনদের হাত ব্যবহার করা হয়েছিল) এ জন্য যে আল্লাহ মুমিনদেরকে একটি চমৎকার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সফলতার সাথে পার করে দেবেন। অবশ্যি আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন ► আনফাল:১৭)

২৮. আল বাসির -► সর্বদ্রষ্টা -► (আল্লাহ যদি তাঁর সব বান্দাদেরকে অঢেল রিযিক দান করতেন তাহলে তারা পৃথিবীতে বিদ্রোহের তুফান সৃষ্টি করতো। কিন্তু তিনি একটি হিসাব অনুসারে যতটা ইচ্ছ নাযিল করেন। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে অবহিত এবং তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন ► শুরা:২৭)

২৯. আল হাকাম -► মিমাংসাকারী, বিচারক -► (আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেসব বিষয়ে ফায়সালা করে দেবেন ► হাজ্জ:৬৯)

৩০. আল আদল -► ন্যায়নিষ্ঠ -► ("আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।" .► সূরা আল্ আন-আম: ১১৫)

৩১. আল লাতীফ -► সূক্ষ্ণ দক্ষতাসম্পন্ন -► (আর লুকমান ২৭ বলেছিল ) “ হে পুত্র! কোন জিনিস যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা লুকিয়ে থাকে পাথরের মধ্যে , আকাশে বা পৃথিবীতে কোথাও , তাহলে আল্লাহ তা বের করে নিয়ে আসবেন। ২৮ তিনি সূক্ষ্মদর্শী এবং সবকিছু জানেন ► লুকমান:১৬)

৩২. আল খাবীর -► সর্বজ্ঞ -► (যদি আল্লাহ তোমার কোন ধরনের ক্ষতি করেন তাহলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই যে তোমাকে ঐ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। আর যদি তিনি তোমার কোন কল্যাণ করেন, তাহলে তিনি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী। তিনি নিজের বান্দাদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং তিনি জ্ঞানী ও সবকিছু জানেন ► আন’আম:১৮)

৩৩. আল হালীম -►সহিষ্ণু -► (তোমরা অনিচ্ছায় যেসব অর্থহীন শপথ করে ফেলো সেগুলোর জন্য আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না, কিন্তু আন্তরিকতার সাথে তোমরা যেসব শপথ গ্রহণ করো সেগুলোর জন্য অবশ্যি পাকড়াও করবেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু ► বাকারা:২২৫)

৩৪. আল আজীম -► মহিমাময় -►(আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তাঁর । তিনি সর্বোন্নত ও মহান ► শুরা:০৪)

৩৫. আল গাফুর -► ক্ষমাশীল -► (যারা তোমাদের শত্রু আল্লাহ তাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সম্ভবতঃ বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবই করতে পারেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের
বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম ► মুমতাহিনা:০৭)

৩৬. আশ শাকুর -► গুণগ্রাহী -► (যদি তোমরা আল্লাহকে করযে হাসানা দাও তাহলে তিনি তোমাদেরকে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ সঠিক মূল্যায়ণকারী ও অতিব সহনশীল ► তাগাবুন:১৭)

৩৭. আল আলী -► অত্যুচ্চ -► (এ সবকিছু এ কারণে যে, আল্লাহই হচ্ছেন সত্য এবং তাকে বাদ দিয়ে অন্য যেসব জিনিসকে এরা ডাকে তা সবই মিথ্যা, আর ( এ কারণে যে, ) আল্লাহই সমুচ্চ ও শ্রেষ্ঠ ► লুকমান:৩০)

৩৮. আল কাবীর -► বিরাট/ মহৎ -► (তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন ► রা’দ:০৯)

৩৯. আল হাফীজ -► মহা রক্ষক -► (যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে চাও তাহলে ফিরিয়ে নাও, কিন্তু যে পয়গাম দিয়ে আমাকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল তা আমি তোমাদের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। এখন আমার রব তোমাদের জায়গায় অন্য জাতিকে বসাবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। অবশ্যি আমার রব
প্রতিটি জিনিসের সংরক্ষক ► হুদ:৫৭)

৪০. আল মুকিত -►আহার্যদাতা -► ("তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।" ► সূরা হা-মীম সেজদাহ:  ১০)

৪১. আল হাসীব -► মহা পরিক্ষক -►(এ হচ্ছে আল্লাহর নিয়ম তাদের জন্য) যারা আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে থাকে, তাঁকেই ভয় করে এবং এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না আর হিসেব গ্রহণের জন্য কেবলমাত্র আল্লাহই যথেষ্ট ► আহযাব:৩৯)

৪২. আল জালিল -► প্রতাপশালী -► ( রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ বলেন, “হে আদম সন্তান! নিশ্চয়ই বার্ধক্য আমার নূরসমূহের একটি নূর। আমার নূরকে আমি আমার আগুন দিয়ে শাস্তি দিতে লজ্জা
বোধ করি ► হাদীসে কুদসী)

৪৩. আল কারীম -► মহামান্য -► (হে মানুষ ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে ► ইনফিতার:০৬)

৪৪. আর রাকীব -► নিরীক্ষণকারী -► (হে মানব জতি ! তোমাদের রবকে ভয় করো। তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে । আর সেই একই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন তার জোড়া । তারপর তাদের দুজনার থেকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী । ১ সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের কাছ থেকে নিজেদের হক আদায় করে থাকো এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রেখেছেন ► নিসা:০১)

৪৫. আল মুজিব -► প্রার্থনা গ্রহণকারী -► (আর সামুদের কাছে আমি তাদের ভাই সালেহকে পাঠালাম সে বললো, “হে আমার কওমের লোকেরা! আল্লাহর বন্দেগী করো। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। তিনিই তোমারে যমীন থেকে পয়দা করেছেন এবং এখানেই তোমাদের বসবাস করিয়েছেন। কাজেই তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও এবং
তাঁর দিকে ফিরে এসো। নিশ্চয়ই আমার রব নিকটে আছেন তিনি ডাকের জবাব দেন ►হুদ:৬১)

৪৬. আল ওয়াসি -► সর্বব্যাপী -► (হে নবী ! তাদের বলে দাও, ‘‘গ্রহন ও মর্যাদা আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। তিনি ব্যাপক দৃষ্টির অধিকারী ► ইমরান:৭৩)

৪৭. আল হাকীম -► বিচক্ষণ -► (যমীন ও আসমানসমূহের প্রতিটি জিনিসই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও অতিশয় বিজ্ঞ ► হাদীদ:০১)

৪৮. আল ওয়াদুদ -► প্রেমময় -► (আসলে তোমার রবের পাকড়াও বড় শক্ত। তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন আবার তিনিই দ্বিতীয় বার সৃষ্টি করবেন। তিনি ক্ষমাশীল , প্রেমময় .. ► বুরুজ:১৪)

৪৯. আল মাজীদ -► গৌরবময় -► (ফেরেশতারা বললোঃ “আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে অবাক হচ্ছো? ৮২ হে ইবরাহীমের গৃহবাসীরা! তোমাদের প্রতি তো রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত, আর অবশ্যি আল্লাহ অত্যন্ত প্রশংসাই এবং বড়ই শান শওকতের অধিকারী ► হুদ:৭৩)

৫০. আল বাঈছ -► পুনরুথানকারী -► (আর এ (একথার প্রমাণ) যে, কিয়ামতের সময় অবশ্যই আসবে, এতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে উঠাবেন যারা কবরে চলে গেছে ► হাজ্জ:০৭)

৫১. আশ শাহীদ -► প্রত্যক্ষকারী -► (আল্লাহই তো সে মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীন দিয়ে পাঠিয়েছেন যেন তাকে সমস্ত দীনের ওপর বিজয়ী করে দেন। আর এ বাস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহর সাক্ষই যথেষ্ট ► ফাতহ:২৮)

৫২. আল হাক্‌ক -► সত্য -► (এসব কিছু এজন্য যে, আল্লাহ সত্য, তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন এবং তিনি সব জিনিসের ওপর শক্তিশালী ► হাজ্জ:০৬)

৫৩. আল ওয়াকীল -► তত্ত্বাবধায়ক -► (মূসা বললেন, আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি স্থির হল। দু’টি মেয়াদের মধ্য থেকে যে কোন একটি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যা বলছি, তাতে আল্লাহর উপর ভরসা ►কাসাস:২৮)

৫৪. আল কাও’য়্যি -► শক্তিশালী -► (আল্লাহ লিখে দিয়েছেন যে, তিনি এবং তাঁর রসূল অবশ্যই বিজয়ী হবেন। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ মহা শক্তিমান ও পরাক্রমশালী ► মুজাদালাহ:২১)

৫৫. আল মাতীন -► দৃঢ়তা সম্পন্ন -► (আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে তাও চাই না। আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী ► যারিয়াত:৫৮)

৫৬. আল ওয়ালী -► অভিভাবক -► (আল্লাহর মোকাবিলায় তারা তোমরা কোন কাজেই আসতে পারে না। ২৪ জালেমরা একে অপরের বন্ধু এবং মুত্তাকীনদের বন্ধু আল্লাহ ► জাসিয়া:১৯)

৫৭. আল হামীদ -► প্রশংসিত -► (আর মূসা বললো, “যদি তোমরা কুফরী করো এবং পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীও কাফের হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর কিছুই আসে যায় না এবং তিনি আপন সত্তায় আপনি প্রশংসিত।” ► ইবরাহীম:০৮)

৫৮. আল মুহসী -► হিসাব গ্রহণকারী -► (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমার উম্মতের হিসাব আমার উপর ন্যাস্ত করার জন্য আমি মহান আল্লাহর সমীপে আরয করলাম, যাতে তারা অপরাপর উম্মতের সামনে লাঞ্ছিত না হয়, তখন মহান ও পরাক্রমশালী রব আমার প্রতি প্রত্যাদেশ করলেন, “হে মুহাম্মদ! আমি তাদের হিসাব গ্রহণ করব। অনন্তর তাদের যদি কোন ক্রটি হয়, আমি তোমার কাছেও তা গোপন রাখাব, যাতে তারা তোমার কাছেও অপদস্থ না হয় ► হাদীসে-কুদসী)

৫৯. আল মুবদী -► আদি স্রষ্টা -► (তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমাদের তৈরী করা, শরীকদের মধ্যে কেউ আছে কি যে সৃষ্টির সুচন করে আবর তার পুনরাবৃত্তিও করে? -বলো, একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টির সূচনা করে এবং তার পুনরাবৃত্তির
ঘটনা, কাজেই তোমরা কোন উল্টো পথে চলে যাচ্ছো ? ► ইউনুস:৩৪)

৬০. আল মুঈদ -► পুনঃসৃষ্টিকারী -► (এরা কি কখনো লক্ষ করেনি আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন তারপর তার পুনরাবৃত্তি করেন? নিশ্চয়ই এ (পুনরাবৃত্তি) আল্লাহর জন্য সহজতর ► আনকাবুত:১৯)

৬১. আল মুহয়ী -► জীবনদাতা -► (বৃষ্টিবাহী বায়ু আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই। জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী ► হিজর:২৩)

৬২. আল মুমীত -► মরণদাতা -► (হে ঈমানদারগণ ! কাফেরদের মতো কথা বলো না। তাদের আত্মীয়স্বজনরা কখনো সফরে গেলে অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে ( এবং সেখানে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে) তারা বলে, যদি তারা আমাদের কাছে থাকতো তাহলে মারা যেতো না এবং নিহত হতো না । এ ধরনের কথাকে আল্লাহ তাদের মানসিক
খেদ ও আক্ষেপের কারণে পরিণত করেন । নয়তো জীবন –মৃত্যু তো একমাত্র আল্লাহই দান করে থাকেন এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপের ওপর তিনি দৃষ্টি রাখেন । ►ইমরান:১৫৬)

৬৩. আল হায়্যু -► চিরঞ্জীব -► (আল্লাহ এক চিরঞ্জীব ও শাশ্বত সত্তা, যিনি বিশ্ব –জাহানের সমগ্র ব্যবস্থাপনাকে ধারণ করে আছেন, আসলে তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:০২)

৬৪. আল কায়্যুম -► স্বয়ং স্থিতিশীল -► (লোকদের মাথা চিরঞ্জীব ও চির প্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে ঝুঁকে পড়বে, সে সময় যে জুলুমের গোনাহের ভার বহন করবে সে ব্যর্থ হবে ► ত্বাহা:১১১)

৬৫. আস সাবুর -► ধৈর্য্যশীল -► ("হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।" ► সূরা বাকারাহ: ১৫৩ )

৬৬. আল ওয়াজিদ -► অবধারক -► (The Self-Sufficient, The All-Perceiving) "তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।"  ► সূরা আদ্ব-দ্বোহা: ৬ )

৬৭. আল মাজিদ -► মহান -► (The Glorified) (তারা বলল-তুমি আল্লাহর হুকুম সম্পর্কে বিস্ময়বোধ করছ? হে গৃহবাসীরা, তোমাদের উপর আল্লাহর রহমত ও প্রভুত বরকত রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ প্রশংসিত মহিমাময়। ► সূরা হুদ: ৭৩)

৬৮. আল ওয়াহিদ -► একক -► (সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মানদের কসম, তারপর যারা ধমক ও অভিশাপ দেয় তাদের কসম, তারপর তাদের কসম যারা উপদেশবাণী শুনায়, তোমাদের প্রকৃত মাবুদ মাত্র একজনই ► সফফাত:০৪)

৬৯. আস সামাদ -► অভাবমুক্ত -► (আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তাঁর ওপর নির্ভরশীল ► ইখলাস:০২)

৭০. আল ক্বাদীর -► শক্তিশালী -► (অতপর তা মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তার সুন্দর দেহ বানালেন এবং তার অংগ-প্রতংগগুলো সুসামঞ্জস্য করলেন। তারপর তা থেকে নারী ও পুরুষ দু”রকম মানুষ বানালেন। সেই স্রষ্টা কি মৃতদের পুনরায় জীবিত করতে সক্ষম নন? ► ক্বিয়ামাহ:৪০)

৭১. আল মুক্তাদির -► প্রবল/ পরাক্রম -► (ফেরাউনের অনুসারীদের কাছেও সাবধান বাণীসমূহ এসেছিল। কিন্তু তারা আমার সবগুলো নিদর্শনকে অস্বীকার করলো। অবশেষে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। যেভাবে কোন মহা -পরাক্রমশালী পাকড়াও করে ► ক্বামার:৪২)

৭২. আল মুকাদ্দিম -► অগ্রবর্ত্তীকারী -► (The Expediter) ("আল্লাহ তা’আলা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার নির্দিষ্টকাল যখন হবে, তখন অবকাশ দেয়া হবে না, যদি তোমরা তা জানতে!" ►সূরা নূহ:  ৪  )

৭৩. আল মুয়াখখির -► পশ্চাদবর্ত্তীকারী, অবকাশপ্রদানকারী -► (যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না। ► সুরা নাহ্ল :৬১)

৭৪. আল আওয়াল -► অনাদী, প্রথম -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৫. আল আখির -► অনন্ত -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৬. আল জাহির -► প্রকাশ্য -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৭. আল বাতিন -► গুপ্ত -► (তিনিই আদি তিনি অনন্ত এবং তিনিই প্রকাশিত তিনিই গোপন । তিনি সব বিষয়ে অবহিত ► হাদীদ:০৩)

৭৮. আল ওয়ালী -► কার্য্য নির্বাহক (হাদীসে কুদসী) ("তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না
তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।" ►সুরা রা’দ: ১১)

৭৯. আল মুতা’আলী -► সুউচ্চ, The Most Exalted -► (আল্লাহ প্রত্যেক গর্ভবতীর গর্ভ সম্পর্কে জানেন। যা কিছু তার মধ্যে গঠিত হয় তাও তিনি জানেন এবং যাকিছু তার মধ্যে কমবেশী হয় সে সম্পর্কেও তিনি খবর রাখেন। তাঁর কাছে প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি পরিমাণ নির্দিষ্ট রয়েছে। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন ► রা’দ:০৯)

৮০. আল বার্‌র -► ন্যায়বান -► (তারা বলবে আমরা প্রথমে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে ভয়ে ভয়ে জীবন যাপন করতাম। পরিশেষে আল্লাহ আমাদের ওপর মেহেরবানী করেছেন এবং দগ্ধকারী আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন। অতীত জীবনে আমরা তাঁর কাছেই দোয়া করতাম সত্যিই তিনি অতি বড় উপকারী ও দয়াবান ►
তুর:২৮)

৮১. আত তাওয়াব -► তওবা গ্রহণকারী -►(হে ঈমানদাগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ। দোষ অন্বেষন করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু ► হুজরাত:১২)

৮২. আল মুনতাকিম -► প্রতিশোধ গ্রহণকারী -► (যেদিন আমি বড় আঘাত করবো, সেদিন আমি তোমাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো। আমি এর আগে ফেরাউনের কওমকেও এই পরীক্ষায় ফেলেছিলাম । তাদের কাছে একজন সম্ভ্রান্ত রসূল এসেছিলেন ►দুখান:১৬)

৮৩. আল আফউ -► ক্ষমাকারী -► (এতো হচ্ছে তাদের অবস্থা, আর যে ব্যক্তি প্রতিশোধ নেয় ঠিক যেমন তার সাথে করা হয়েছে তেমনি এবং তারপর তার ওপর বাড়াবাড়িও করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন, আল্লাহ গোনাহমাফকারী ও ক্ষমাশীল ► হাজ্জ্ব:৬০)

৮৪. আর রাউফ -► কোমল হৃদয় -►(আল্লাহ নবীকে মাফ করে দিয়েছেন এবং অত্যন্ত কঠিন সময়ে যে মুহাজির ও আনসারগণ নবীর সাথে সহযোগীতা করেন তাদেরকেও মাফ করে দিয়েছেন। যদিও তাদের মধ্যে থেকে কিছু লোকের দিল বক্রতার দিকে আকৃষ্ট হতে যাচ্ছিল (কিন্তু তারা এ বক্রতার অনুগামী না হয়ে নবীর সহযোগী হয়েছেন।ফলে) আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছেন। নিসন্দেহে এ লোকদের প্রতি তিনি স্নেহশীল ও মেহেরবান ► তাওবা:১১৭)

৮৫. মালিক-উল-মুলক -► রাজ্যের মালিক -► (বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে
চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত । নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী । ► ইমরান:২৬)

৮৬. যুল জালাল ওয়াল ইকরাম -► মহিমান্বিত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ -► (ঐ সব জান্নাতবাসী সবুজ গালিচা ও সুক্ষ্ম পরিমার্জিত অনুপম ফরাশের ওপর হেলান দিয়ে বসবে। তোমাদের রবের কোন্ কোন্ দান তোমরা অস্বীকার করবে? তোমার মহিমান্বিত ও দাতা রবের নাম অত্যন্ত কল্যাণময়। ► আর-রহমান:২৭)

৮৭. আল মুকসিত -► ন্যায়পরায়ণ -► (আল্লাহ নিজেই সাক্ষ দিয়েছেন , তিনি ছাড়া আর কোন ইলাই নেই। আর ফেরেশতা ও সকল জ্ঞানবান লোকই সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে এ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সেই প্রবল পরাক্রান্ত ও জ্ঞানবান সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ► ইমরান:১৮)

৮৮. আল জামি -► একত্রীকরণকারী -► (হে আমাদের রব! অবশ্যি তুমি সমগ্র মানব জাতিকে একদিন একত্রে সমবেত করবে, যে দিনটির আগমনের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তুমি কখনো ওয়াদা থেকে বিচ্যুত হও না।’’ ► ইমরান:০৯)

৮৯. আল গানী -► সম্পদশালী -► (দেখো, তোমাদেরকে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে অথচ তোমাদের মধ্যকার কিছু লোক কৃপণতা করেছে। যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ যারা কৃপণতা করে তারা প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ তো অভাব শূন্য। তোমরাই তার মুখাপেক্ষী। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আল্লাহ তোমাদের স্থানে অন্য কোন জাতিকে নিয়ে আসবেন। তারা তোমাদের মত হবে না ► মুহাম্মাদ:৩৮)

৯০. আল মুগনি -► অভাব মোচনকারী -► (হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন আর মসজিদে হারামের কাছে না আসে। ২৫ আর যদি তোমাদের দারিদ্রের ভয় থাকে, তাহলে আল্লাহ চাইলে তার নিজ অনুগ্রহে শীঘ্রই তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন । আল্লাহ সবকিছু জানেন ও তিনি প্রজ্ঞাময় ►তাওবা:২৮)

৯১. আল মানি -► প্রতিরোধকারী -► (The Preventer of harm ► হাদীসে কুদসী) ("রহমান আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তোমাদের কোন সৈন্য আছে কি, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফেররা বিভ্রান্তিতেই পতিত আছে।" ►সূরা আল-মুলক: ২০)

৯২. আদ দারর -► অকল্যাণকর্তা -► (The Afflicter► হাদীসে কুদসী) ("আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী কেউ নেই। পক্ষান্তরে যদি তোমার মঙ্গল করেন, তবে তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।" ►সূরা আল্ আন-আম: ১৭)

৯৩. আন নাফি -► কল্যাণকর্তা -► (The Benefiter► হাদীসে কুদসী) ("তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করেন এবং হ্রাস করেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।" ► সূরা
আর-রূম: ৩৭)

৯৪. আন নূর -► জ্যোতি -► (আল্লাহ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর আলো । (বিশ্ব-জাহানে) তাঁর আলোর উপমা যেন একটি তাকে একটি প্রদীপ রাখা আছে, প্রদীপটি আছে একটি চিমনির মধ্যে, চিমনিটি দেখতে এমন যেন মুক্তোর মতো
ঝকঝকে নক্ষত্র, আর এ প্রদীপটি যয়তুনের এমন একটি মুবারক গাছের তেল দিয়ে উজ্জল করা হয়, যা পূর্বেরও নয়, পশ্চিমেরও নয়। যার তেল আপনা আপনিই জ্বলে ওঠে, চাই আগুন তাকে স্পর্শ করুক বা না করুক । (এভাবে ) আলোর ওপরে আলো (বৃদ্ধির সমস্ত উপকরণ একত্র হয়ে গেছে) আল্লাহ যাকে চান নিজের আলোর দিকে পথনির্দেশ করেন । তিনি উপমার সাহায্যে লোকদের কথা বুঝান। তিনি প্রত্যেকটি জিনিস খুব ভালো করেই জানেন ► নুর:৩৫)

৯৫. আল হাদী -► পথ প্রদর্শক -►((হে নবী!) আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে যে কিতাব পাঠিয়েছি সেটিই সত্য, সত্যায়িত করে এসেছ তার পূর্বে আগত কিবাতগুলোকে। অবশ্যই আল্লাহ নিজের বান্দাদের অবস্থা অবগত আছেন এবং সব জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখেন ► ফাতির:৩১)

৯৬. আল বাদী -► অভিনব সৃষ্টিকারী -► (তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা । তিনি যে বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন সে সম্পর্কে কেবলমাত্র হুকুম দেন ‘হও’ , তাহলেই তা হয়ে যায় ► বাকারা:১১৭)

৯৭. আল বাকী -► চিরস্থায়ী -► (এ ভূপৃষ্ঠের প্রতিটি জিনিসই ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তোমার মহীয়ান ও দয়াবান রবের সত্তাই অবশিষ্ট থাকবে ► আর রহমান:২৭)

৯৮. আল ওয়ারিছ -► উত্তরাধিকারী -► (বৃষ্টিবাহী বায়ু আমিই পাঠাই। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি এবং এ পানি দিয়ে তোমাদের পিপাসা মিটাই। এ সম্পদের ভাণ্ডার তোমাদের হাতে নেই। জীবন ও মৃত্যু আমিই দান করি এবং আমিই হবো সবার উত্তরাধিকারী ► আর হিজর:২৩)

৯৯. আল রাশীদ -► সত্যদর্শী -► (The Guide► হাদীসে কুদসী) ("এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে
আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন।"  ►সূরা আল মায়েদাহ: ১৬)