ডকুমেন্ট পড়ুন: দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে ▐ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায়ের পদ্ধতি ▐ কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান ▐ গুরুত্বপূর্ণ দোআ সমূহ ▐ কবরের আযাব ▐ আল কুরআনের আলোকে আল্লাহর পথে দানের গুরুত্ব ▐ ঈমান সুদৃঢ় রাখার কিছু উপায় ▐ আল্লাহর হক ▐ জান্নাতে প্রবেশের কিছু উপায়▐ নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি ▐ আমাদের দেশে প্রচলিত কয়েকটি বড় ধরনের বিদ'আত ▐ পুন্যের অসংখ্য পথ ▐ কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত ▐ যদি সবকিছু পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পাদনের জন্যে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে কেন ? ▐ তাওবার ফজিলত ▐ মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ ▐ অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : অহংকার ▐ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল ▐ দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান ▐ একশটি কবীরা গুনাহ ▐ ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর ▐ মৃত-ব্যক্তির জন্য করণীয় কাজের মাসনূন পদ্ধতি ▐ দান-ছদকার ফযীলত ▐ ইসলামে নারীর যৌন অধিকার ▐ আমরা যেভাবে আল্লাহ্‌র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করব ▐ কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম ▐ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ: গুরুত্ব ও তাৎপর্য ▐ প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা ▐ বিয়ের প্রস্তাব : করণীয় ও বর্জনীয় ▐ কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত ▐ মিউজিক কি হারাম ? ▐ যে সকল কারণে একজন মুসলমান ইসলামচ্যুত হয়ে যায় তথা কাফির হয়ে যায় ▐ বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ ▐ পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর ▐ দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা ▐ যে সব ভুল-ভ্রান্তির কারণে দু'আ কবুল হয়না ▐ কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস ▐ বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা ▐ তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত ▐ ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব ▐





Peace TV Bangla Live

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সূরা আস্-সাফ্ফাত

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,
[2] অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,
[3] অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-
[4] নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।
[5] তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।
[6] নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
[7] এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।
[8] ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।
[9] ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।
[10] তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
[11] আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।
[12] বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।
[13] যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
[14] তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।
[15] এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।
[16] আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
[17] আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?
[18] বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।
[19] বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।
[20] এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।
[21] বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।
[22] একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।
[23] আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,
[24] এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;
[25] তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?
[26] বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।
[27] তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
[28] বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।
[29] তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।
[30] এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
[31] আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।
[32] আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।
[33] তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।
[34] অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।
[35] তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।
[36] এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
[37] না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
[38] তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
[39] তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
[40] তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।
[41] তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।
[42] ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত।
[43] নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।
[44] মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।
[45] তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।
[46] সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।
[47] তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।
[48] তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
[49] যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।
[50] অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
[51] তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।
[52] সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,
[53] আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?
[54] আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?
[55] অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।
[56] সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।
[57] আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।
[58] এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।
[59] আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।
[60] নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
[61] এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।
[62] এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?
[63] আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।
[64] এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।
[65] এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।
[66] কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।
[67] তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,
[68] অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।
[69] তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।
[70] অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।
[71] তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।
[72] আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।
[73] অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।
[74] তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।
[75] আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।
[76] আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।
[77] এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।
[78] আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
[79] বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
[80] আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
[81] সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
[82] অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।
[83] আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।
[84] যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,
[85] যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?
[86] তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?
[87] বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?
[88] অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।
[89] এবং বললঃ আমি পীড়িত।
[90] অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।
[91] অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?
[92] তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?
[93] অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
[94] তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।
[95] সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?
[96] অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
[97] তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।
[98] তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।
[99] সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।
[100] হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
[101] সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
[102] অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
[103] যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
[104] তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
[105] তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[106] নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
[107] আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
[108] আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
[109] ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
[110] এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[111] সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।
[112] আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।
[113] তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।
[114] আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।
[115] তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।
[116] আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।
[117] আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।
[118] এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।
[119] আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
[120] মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
[121] এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[122] তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।
[123] নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।
[124] যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?
[125] তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।
[126] যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?
[127] অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।
[128] কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।
[129] আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,
[130] ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!
[131] এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[132] সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।
[133] নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।
[134] যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;
[135] কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।
[136] অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।
[137] তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়
[138] এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?
[139] আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।
[140] যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।
[141] অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।
[142] অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।
[143] যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,
[144] তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।
[145] অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।
[146] আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।
[147] এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।
[148] তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।
[149] এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তান।
[150] না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?
[151] জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,
[152] আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
[153] তিনি কি পুত্র-সন্তানের স্থলে কন্যা-সন্তান পছন্দ করেছেন?
[154] তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?
[155] তোমরা কি অনুধাবন কর না?
[156] না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?
[157] তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।
[158] তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।
[159] তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।
[160] তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।
[161] অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,
[162] তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
[163] শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।
[164] আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।
[165] এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।
[166] এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।
[167] তারা তো বলতঃ
[168] যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,
[169] তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।
[170] বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,
[171] আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,
[172] অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।
[173] আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।
[174] অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
[175] এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
[176] আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?
[177] অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।
[178] আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
[179] এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
[180] পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।
[181] পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
[182] সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।